মোঃ মশিউর রহমান সুমন। মেহেন্দিগঞ্জ, বরিশাল, প্রতিনিধি।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজীরহাটে ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে আটকের পর পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন তার স্বজনরা।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে আসামীর স্বজনদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেওয়া আসামি মোঃ আলাল সরদার (৩৫) বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রতনপুর গ্রামের আইয়ুব আলী সরদার’র ছেলে। কুড়ি গ্রামের একটি মামরারি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বলে জানান পুলিশ ।
অভিযানে থাকা দুই পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। আহত কনস্টেবল আক্তার হোসেন ও সৌরব চন্দ্রকে পাশ্চবর্তী মুলাদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে । কাজীরহাট থানার পুলিশ উপপরিদর্শক মোঃ ফরিদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরোয়ানাভূক্ত আসামি আলালকে রতনপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ফোরকানসহ দুই কনস্টেবল ওয়ারেন্ট না নিয়ে আটক করে, এসময় আটককৃতের স্বজনরা পুলিশকে ওয়ারেন্ট দেখাতে বলে, ওয়ারেন্ট দেখাতে না পারায় তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়, সংবাদ পেয়ে আমি থানা থেকে ওয়ারেন্ট নিয়ে ঘটনাস্থলে আসার আগেই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
তারমতে নারী-পুরুষ ৩০/৪০ জনে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেয়। ২১জুন শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯টার সময় পশ্চিম রতনপুর অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই ফোরকান ও কনস্টেবল সৌরব ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীকে স্থাানীয় তোফায়েল বেপারীর চায়ের দোকানের সামনে থেকে আটক করে। আসামী ছিনিয়ে নেয় আনোয়ার হোসেন সরদার, রিয়াজ সরদার, দুলাল সরদার, রিপন সরদার, মোশাররফ সরদারসহ আরো অনেকে। ক্যাম্পের ইনচার্জ ফোরকান বলেন এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি ছিনিয়ে নেওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। অপরদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি। এও বলেন কাজীরহাট থানার এস আই ফরিদ এর নির্দেশে আলালকে আটক করেছিলেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য আলী হোসেন সোহেল বলেন, আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার সময় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তির খবর পেয়েছি। কাজীরহাট থানার ওসি তদন্ত আব্দুর রহমান গণমাধ্যমকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, মামলা নং ১৩। এতে জ্ঞাত ১৩ জন আর অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়। অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান এখানে এমন আরো একাধিক ঘটনা ঘটেছিলো। ২ বছর আগে এস আই প্রসিতকে চুরিকাঘাত করেন ওয়ারেন্টভুক্ত হুমায়ুন সিকদার নামের এক ব্যক্তি।