মোঃ মশিউর রহমান সুমন।
মেহেন্দিগঞ্জ, বরিশাল, প্রতিনিধিঃ
বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় বরিশাল -৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পস্কজ নাথ ও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাম্মী আহম্মেদ সমর্থদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটনা ঘটেছে। এতে কৃষক লীগ নেতা মোঃ সিরাজ (৬০) নিহত হয়েছেন এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
সমাবেশ চলাকালে বেলা আড়াইটার দিকে মাঠের পশ্চিম পাশে বরিশাল-৪ আসনের নৌকা প্রতীক প্রার্থী সাম্মী আহম্মেদ সমর্থকরা অবস্থান নেয়। কিছুক্ষন পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী পস্কজ নাথের অনুসারীরা মিছিল নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে। তারাও মাঠের পশ্চিম পাশে অবস্থান নেয় তৎক্ষনিক দু গ্রুপের মধ্যে পানির বোতল ছুটতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক ড. শাম্মী আহম্মেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পস্কজ নাথ তখন মঞ্চে ছিলেন। তবে সংঘাতের কিছুক্ষণ পরে প্রধানমন্ত্রী জবসভায় পৌঁছান। এই দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছে।
নিহত সিরাজ হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কোড়ালিয়া ৬ নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক। এদিকে নিহত সিরাজ কে দু পক্ষই তাদের লোক দাবি করছেন।
আহত ৩০ জনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত উল্লেখযোগ্যরা হলেন, শাওন সরদার( ৩৫) সোহান(২৬) শিপন (৩০) সিয়াম( ১৩) ইয়াসিন (৩২) কামরুল ইসলাম (৫৫), সেকান্দর আলী (৩৫) আলাউদ্দিন (৬৫), হাসান( ৩৫), ধলু বেপারি (৫৭), ও হানিফ( ৬০)।
নিহত সিরাজকে শাম্মী আহম্মেদের লোক দাবি করে হিজলা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তানভীর আহম্মেদ বলেন, আমরা মিছিল নিয়ে মাঠের পশ্চিম পাশে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ ঈগলের স্লোগান নিয়ে পস্কজের লোকজন হামলা করে।
এদিকে পস্কজ নাথের অনুসারীরা বলেন, কয়েকটি লঞ্চে প্রায় ১৫ হাজার সমর্থক নিয়ে তাঁরা সমাবেশে মাঠের কাছাকাছি কীর্তনখোলা নদীর কেডিসি ঘাটে নামেন। পস্কজ নাথ সেখান থেকে মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে সমাবেশ মাঠের দিকে যান। মিছিলটি জনসভা মাঠে ডুকে গেলে তাদের ওপর হামলা হয়।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন নিহত সিরাজের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, জবসভার মাঠে সিরাজ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিতে আরো বেশ কয়েকজন শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।