বসন্ত বরণ -পিঠা উৎসব ও জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেতে উঠেছে সরকারি হরগঙ্গা কলেজ।
আজ ১৫ ই ফেব্রুয়ারি বুধবার সরকারি হরগঙ্গা কলেজের মাঠে এ উৎসবটি আয়োজন করা হয়।বর্নিল সাজে প্রত্যেক বিভাগের নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় বসেছে প্রায় ২০টি পিঠা স্টল। বাঙালি ঐতিহ্যের ভাপা, চিতুই, পাটিসাপটা, নকশা পাকন ও ফুল পিঠাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক পিঠা সাজিয়ে স্টল বসান কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সকাল ১০ টার দিকে পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন জনাব হাজী ফয়সাল আহমেদ বিপ্লব,এম পি মুন্সীগঞ্জ ০৩।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ মুন্সীগঞ্জ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম খান, পরিচালক ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা। জনাব অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজ আলী, স্কিন ডিরেক্টর কারিকুলাম ডিসেমিনেশন স্কিম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা।
পরে অধ্যক্ষ মহাদয় সকল অতিথি, শিক্ষকদের নিয়ে বিভিন্ন স্টলগুলোতে পরিদর্শন করেন ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন , পিঠা উৎসব আমাদের ঐতিহ্যকে ধারণ করে। আমাদের বিভিন্ন উৎসবে এসব পিঠা পুলির আয়োজন করা হয়। আর এই উৎসবের মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্য জাগ্রত হবে সভাপতির বক্তব্যে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুভাষ চন্দ্র হীরা মহাদয় বলেন, যারা আজকের এই বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসবে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন সকল শিক্ষক, অতিথি ও শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রতিবছর এরকম জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন।
পিঠা উৎসবে আসা অত্র কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী তাকবীর বলেন, বাঙালির হাজারো ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সাথে মিশে আছে পিঠা।যখনি পিঠা পুলির কথা উঠে তখনি শীত ঋতুটি চোখে ভেসে ওঠে। এরকম আয়োজন প্রতিবছর করা দরকার।
ফাল্গুনী বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসটি সেজেছে বাসন্তী সাজে। তরুণ-তরুণীর বাহারী রংয়ের পোশাক হলদে সাজের মিলনমেলা এখানে।ফাগুনের রঙিন ছোঁয়া শুধু প্রকৃতিতে নয় ছুঁয়ে গেছে মন ও পোশাকেও। পলাশ, শিমুলের রঙে আজ মুগ্ধতার অবগাহন। বসন্ত বাতাসে গাইছে কোকিল। আর বাসন্তী সাজে সেজেছে হাজারো প্রাণ। উচ্ছ্বাস আর উদযাপনে মেতেছে জীবন। সঙ্গীত আর নৃত্যে যেন ভরে গেছে চিত্ত।সবাই গাইছে জীবনের গান। বিকালে প্রথম হওয়া পুরস্কারের মাধ্যমে পিঠা উৎসবের সবাইকে পুরস্কার বিতরণে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।