মশিউর মিলন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ-বিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ এর ২য় ধাপে আগামী ২১ মে বাউফলে অনুষ্ঠিত হবে ভোট।
প্রার্থীদের প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে চলতি মাসের ২ তারিখে। মো. আনিছুর রহমান ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে উড়োজাহাজ প্রতিক পায়। ৩ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে প্রচারণা। এরমধ্যে আচরণ-বিধি লঙ্ঘন করে পোস্টার টানিয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আনিছুর রহমান। লিফলেট বিতরণের ক্ষেত্রেও একই কাজ করেছেন তিনি। নির্বাচনী আচরণ-বিধি অনুযায়ী পোস্টার এবং লিফলেটে সাবেক ও বর্তমান কোনো রাজনৈতিক বা সরকারি পদ-পদবী ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছেন না আনিছুর। তিনি পোস্টার ও লিফলেটে লিখেছেন দশম জাতীয় সংসদের মাননীয় চীপ হুইপ এর এপিএস। দশম জাতীয় সংসদের চীপ হুইপ ছিলেন মূলত এই উপজেলার (পটুয়াখালী-২) বর্তমান সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ এমপি।
মো. আনিছুর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তালা প্রতিকের মো. মাহমুদ রাহাত ওরফে জামশেদ জানান, হলফনামায় সাক্ষর না করার কারণে মো. আনিছুর রহমানের মনোনয়ন পত্র বাতিল করেছিলো নির্বাচন কমিশন। পরবর্তী জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করলে তাকে নির্বাচন করার অনুমতি দেয়া হয়। নির্বাচন করার অনুমতি পেয়ে নিজ ফেইজবুক একাউন্টে ভোট প্রার্থণা করে দেয়া এক স্ট্যাটাসেও একই কাজ করেছেন তিনি। দশম সংসদের চীপ হুইপ এর এপিএস পরিচয় ব্যবহার করার পাশাপাশি নিজেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেও স্ট্যাটাসে লেখেন তিনি। মূলত বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক না তিনি। আসন্ন নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ বিষয়ে মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমার দৃষ্টিতে আমি আচরণ-বিধি লঙ্ঘন করিনি। কারণ দশম সংসদের হুইপ এর এপিএস লিখেছি শুধু তার নাম উল্লেখ করিনি এবং বর্তমান পদও লেখিনি।’ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমি বৈধ সাধারণ সম্পাদক।’
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও বাউফল উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. শাহীন শরীফ বলেন, ‘আচরণ বিধিতে স্পষ্ট বলা আছে কোনো প্রার্থী এধরনের কোনো পদ পদবী প্রচারণায় ব্যবহার করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।’