পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় তার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতিবাদ করায় ভুক্তভোগীর মাকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নে ওই ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ভুক্তভোগীর শারিরীক পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় ও তার মা’কে এখানেই ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা শুক্রবার রাতেই বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেলিম হাওলাদার ও হাসান হাওলাদার নামের বাবা-ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, ভুক্তভোগীর বাবা পেশায় একজন দিনমজুর। ভুক্তভোগী ছোট বেলা থেকে বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। গত কয়েকদিন থেকেই অভিযুক্ত হাসান ভুক্তভোগীর চারপাশে ঘোরাফেরা করছিলো। ঘটনার দিন বেলা ১১ টার দিকে সাংসারিক কাজে বাহিরে যায় ওই কিশোরীর মা। সুযোগ বুঝে অভিযুক্ত হাসান বাড়ির পাশে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে যৌন নির্যাতন করেন। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনতে পায় তার মা। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুক্তভোগীর সাথে হাসানকে অসংলগ্ন অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় দৌড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত৷ বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তকে ও পরিবারকে বকাঝকা করায়, অভিযুক্ত তার কয়েক স্বজনকে নিয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা ও ফুফুকে মারধর করে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. আব্দুর রউফ বলেন, ওই কিশোরীকে বিকেল ৫টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। তার হিস্টোরি শোনার পরে, তাকে শারিরীক পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অপর দিকে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর অভিযুক্ত ধর্ষকের বাবা সেলিম হাওলাদার ও ভাই হাসান ধর্ষিত কিশোরীর বাবা ও মাকে মারধর করে এং অভিযোগ তুলে নেয়ার হুমকি দেয়।
এখবর পেয়ে পুলিশ আজ শনিবার সকালে ধর্ষকের বাবা ও ভাইকে আটক করে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রতিবন্ধী কিশোরীর বাবা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে একজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও অন্যান্য বিষয় বিশ্লেষণ করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।