ঢাকাThursday , 15 May 2025
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. চাকুরী
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাউফলে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ।

Link Copied!

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর বাউফলে প্রায় শতবর্ষী পুরনো কালাইয়া রব্বানিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ এস এম আবদুল হাই’র বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ, পেশাগত অসদাচরণ সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর শিক্ষকদের পক্ষে অভিযোগ দাখিল করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মোঃ মহিবুল্লাহ।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ১৯৯৯ সালে অধ্যক্ষ পদে যোগদানের পর থেকে এ.এস.এম আবদুল হাই একক কর্তৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন। স্থানীয় প্রভাবশালীদের এবং গত ফ্যাসিষ্ট সরকারের রাজনৈতিক ছত্রছায়া থাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি। অভিযোগ রয়েছে, অত্র প্রতিষ্ঠানে তার অনুগতদের মনোনয়ন দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি গঠন করেছেন। যাতে তার কর্মকান্ডে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারেন।

কামিল মাদ্রাসা হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর বিভিন্ন খাত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে থাকে। তবে এসব অর্থের নেই কোন স্বচ্ছ হিসাব। ২০২২ সালের বার্ষিক পরীক্ষার শেষে পরীক্ষার ফি বাবদ মোট ৬,৪২,৭৩০ টাকা আদায় হয়। ওই টাকা থেকে শিক্ষকদের বেতন স্কেলের ২০% হারে শিক্ষকদের মোট ১,১২,০৯০ টাকা বিতরণ করা হয়। কিন্তু শিক্ষকদের দেয়া অর্থ প্রদানের ভাউচারে ৬,৪২,৭৩০ টাকা দেখানো হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষিক জানিয়েছেন তার বেতন স্কেলের ২০% হারে ৩,২০০ টাকা দেয়া হলেও ভাউচারে দেখানো হয়েছে ২৩,২০০ টাকা। একই ধরনের অভিযোগ করেছেন অধিকাংশ শিক্ষক ও শিক্ষিকারা।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সরকারি বরাদ্দকৃত টিউশন ফি বছরে দুইবার আসলেও তার কোনো স্বচ্ছতা নেই। শিক্ষকরা এর কোনো অংশ পাননি এবং মাদ্রাসায় দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন নেই। তবে উন্নয়নের নামে শুধু অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এছাড়া নুরানি বিভাগের ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব নেই বলে দাবি করেছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের অভিযোগ, সহকারী শিক্ষক মুহাম্মদ আতাউল্লাহ এবং অধ্যক্ষ এ.এস.এম আবদুল হাই মিলে প্রতিষ্ঠানের এ সব অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

শিক্ষকরা অভিযোগ করে জানান, বিভিন্ন সময় নতুন বেতনক্রম, টাইম স্কেল, বি.এড স্কেল ও এমপিও শিট সংশোধনের জন্য জোর করে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়েছে। এমনকি প্রাথমিক শ্রেণির বই বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করার ও অভিযোগ তুলেছেন অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর শিক্ষকদের এক বিশেষ সভায় অধ্যক্ষ তার ‘ভুল স্বীকার’ করে কিছু প্রতিশ্রুতি দেন, যার লিখিত দলিলে শিক্ষকদের স্বাক্ষর রয়েছে। অভিযোগকারী শিক্ষকরা এই বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ এ.এস.এম আবদুল হাই বলেন, সব অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

অভিযোগের বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মাদ আরেফীন বলেন, অভিযোগটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মহসিন উদ্দীন কে দেয়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST