মশিউর মিলন পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে আল রাফি (১২) নামের এক শিশুর বলাৎকারের পর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার(২৫ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যবরণ করেন। নিহত রাফি উপজেলার নাজিরপুর ইউপির ৮নং ওয়ার্ড বড় ডালিমা গ্রামের মো. রেজাউল আকনের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাফি স্থানীয় নাজিরপুর ইউনিয়নের ধানদি ব্রীজ সংলগ্ন বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কওমিয়া হাফিজিয়া ও নুরানী কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসায় ১৭পাড়া হাফেজি অধ্যায়নরত ছাত্র ছিলেন। সম্প্রতি ওই শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা প্রেরণ করা হয়। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসক রাফির শারিরীক পরীক্ষা শেষে জানতে পারে তার মলদ্বারে ক্যানসার হয়েছে এবং রক্তে ছড়িয়ে গেছে। এরপরে রাফিকে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার(২৫ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান রাফি। অভিযুক্ত মাদ্রাসা পরিচালক ও হাফেজ সেলিম গাজি ৩ সন্তানের জনক।
নিহত রাফির দাদা আব্দুল আলী আকন কালবেলাকে বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ সেলিম গাজী গত একবছর ধরে ওই শিশু শিক্ষার্থী রাফিকে বলৎকার করে আসছে। তার কারনে আজ আমার নাতি মারা গেল।
অভিযুক্ত মাদ্রাসা পরিচালক ও শিক্ষক হাফেজ সেলিম গাজী পলাতক ও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া যায় নি।
নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মহসীন কালবেলাকে বলেন, আমি প্রশাসনের কাছে ন্যাক্কারজনক এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা পরিচালকের কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দাবী করছি।
এ বিষয়ে বাউফল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।