মশিউর মিলন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে নিষিদ্ধ মাছ বিক্রির সময় তিন মাছ ব্যবসায়িকে আটক করে জরিমানার আওতায় নেয়ার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বশির গাজীর উপস্থিতিতে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার কালিশুরি ইউনিয়নের কুমারখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিষিদ্ধ মাছ ও আসামি ছিনিয়ে নেয়ার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ হুমায়ুন কবিরকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ ।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর প্রতিদিন কুমারখালী বাজারের কয়েক ব্যবসায়ী নদী থেকে মাছ এনে বিক্রি করছে। এ খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত শনিবার বিকালে ওই বাজারে অভিযান চালিয়ে ফারুক ও সোহেল সহ ৩ জন মাছ ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে আটক করেন। আটক ৩ মাছ ব্যবসায়ীকে থানায় নেয়ার জন্য পুলিশের গাড়িতে তোলার হয়। তখন ৮/১০ জন পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে জোড়পূর্বক আটক ৩ মাছ ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলায় আরিফুল নামের এক পুলিশ কনষ্টেবল আহত হয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও মোঃ বশির গাজী কালবেলাকে জানান, চলমান ইলিশ সংরক্ষন অভিযান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তারা নিয়মিত মাছ বাজার মনিটরিং করেন। একই ভাবে শনিবার কালিশুরির কুমারখালী মাছ বাজার পরিদর্শনে যান। এ সময় তিন মাছ ব্যবসায়ির কাছে নিষিদ্ধ ইলিশ ও সামুদ্রিক মাছ পাওয়া গেলে তাদের মাছ আটক করা হয় এবং তাদের জরিমানার আওতায় নেয়া হয়। এ সময় হঠাৎ স্থানীয় এক ব্যক্তি নেতার মতো আবির্ভূত হয়ে একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং মাছ ও ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। পরে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে ৫হাজার টাকা করে ১৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া আটক আওয়ামী লীগ নেতা কবিরকে ও ৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জানা গেছে, আটককৃত মোঃ হুমায়ুন কবির কালিশুরি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড শিবপুর গ্রামের নবী আলী সরদারের ছেলে এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।