হারুন শেখ স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট জেলা
বিচারের বানী নীরবে কাঁদে। বিচার প্রার্থীরা ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। বার বার হয়রানীর স্বীকার হচ্ছে হামলাকারী ও দখলদারদের নিকট থেকে। চার যুগেও সমাধান হয়নি জমি বিরোধ। দফায় দফায় হামলা ও হয়রানি করে নিঃস করে দিচ্ছে অসহায় মানুষদের। আদালতের রায় পেয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। হামলা ও দখলকারীদের খুটির জোর এতটাই যে তারা বিচারের ফয়সালাকে তোয়াক্কা না করেই বার বার হামলা ও জায়গা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এমনি এক ঘটনা ঘটেছে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের বারুইপাড়া গ্রামের মৃত খোরশেদ গাজীর পরিবারের উপর। চলছে অবৈধ জায়গা দখল, ভূমি জালিয়তী ও নানান অপকর্ম। এক শ্রেণির অসাধু দুস্কৃতিকারীদের মদদে এসব কাজ করে বেড়াচ্ছে দখলকারী মহলটি। একের পর এক হামলা করে অসহায়দের হয়রানি করেই যাচ্ছে। অপরাধকারিকে আইনের আওতায় আনা দরকার বলে দাবি করেন সচেতন মহল। রামপাল সহকারি জজ আদালতের মাধ্যমে গত (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০ টার সময় সার্ভিয়ার এড. গোলাম মোর্ত্তজা সোহেল আহমেদ ও জেলা জজ আদালতের ফোসেস সার্ভিয়ার দেলোয়ার হোসেন ফিরোজ তাদের নেতৃত্বে জমির সিমানা নির্ধারণ ও লাল পেলাগ ও ঢুলির ঢোলের আওয়াজে এলাকাবাসিকে জানিয়ে দেন যে আজ থেকে প্রকৃত জমির মালিক ভোগ দখল করবে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সীমানা পরিচিহ্ন মামলা নং- ২৪০/২১ এর মামলা শুরুর তারিখ-৪/১০/২১ মামলার রায় এর ও ২৫/২/২৪ প্রতিবেদনের আদেশের সংযুক্ত জারি মামলা নং ৫/২৪ এর মামলা রেকর্ডীয় জায়গা হচ্ছে, ১৪৫নং খতিয়ানের ১.৭৪ একর জমি রেকর্ডভূক্ত আছে। আদালতের রায় অমান্যকারি তাহের গাজীর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি গণমাধ্যক কর্মীকে বলেন,আদালতে রায় আমি মানি না, লাল নিশানা ও মানি না, হাফিজুরকে তার ঘরে থাকতে দিবো না, আমার ভাই একজন কোস্টগার্ড, পুলিশ, উকিল, সাংবাদিক আদালতের নোটিশ আমরা তোয়ক্কা করি না, আমাদের ৫৩১ নং দাগের ১০ শতক ও ৩১৯ নং দাগের ৪৩ শতক জমির মালিক আমরা সে কি করে জমিতে আসে, হাফিজুর আসলে আমরা তাকে দেখে নিবো বাড়িতে ও উঠতে দেবো না প্রয়োজনে তাকে এলাকা ছাড়া করে দেবো।
এ ব্যাপারে আদালতের রায় পাওয়া ভুক্তভোগী গাজী হাফিজুর রহমান বলেন, জায়গা বুঝে দেওয়ার জন্য গত (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সার্ভিয়ার এড. গোলাম মোর্ত্তজা সোহেল আহমেদ ও জেলা জজ আদালতের ফোসেস সার্ভিয়ার দেলোয়ার হোসেন ফিরোজ সরেজমিনে গিয়ে গ্রাম পুলিশ, সাংবাদিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শত-শত লোকজনের মাঝে ঢাক ঢোল বাজিয়ে সিমানা প্রাচীর চিহৃত করে লাল নিশানা টানিয়ে দেন, আদালত কতৃক জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কিছু দিন যেতে না যেতেই এক পর্যায়ে আমার জমি লাল নিশানা উঠানোর ও অবৈধ ভাবে জমি ভোগ দখলের চেষ্টা করছে, বিবাদীরা হলেন বারুইপাড়া গ্রামের মৃত আপতাব গাজীর পুত্র ও মেয়ে আব্দুল লতিফ গাজী, তাহের গাজী, লতিফা বেগম, আমি জমিতে আসলে আমাকে জীবন নাসের হুমকি, অকট্য ভাষায় গালিগালাজ করছে এমতাস্থায় আমি ও আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।