মাসুদ মীর। বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটে প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ সুলতান নকিব(৭৫) ও তার স্ত্রীকে মারধর ও জখম কারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বুধবার ( ১০ জুলাই) বিকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের কাশেমপুর বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ১০নং ডেমা ইউনিয়নের আয়োজনে উক্ত মানববন্ধনে নেতাকর্মী মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
এ সময় বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি শেখ মোজাহেদুল ইসলাম, ডেমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর শেখ, সাধারন সম্পাদক মল্লিক মেহেদী হাসান তপু, সাংগঠনিক সম্পাদক নকিব তরিকুল ইসলাম, নকিব রফিকুল ইসলাম, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নকিব রবিউল ইসলাম, ডেমা ইউনিয়ন শ্রমীক লীগের সভাপতি মল্লিক রেজাউল, তাতী লীগের সভাপতি পলাশ মন্ডল, আওয়ামী লীগ নেতা বেনজির শেখ, আব্দুল হাই, অহিদ গাজী, নকিব মুরাদ, নকিব জুলাস, মুনমুন মল্লিক, রবিউল ইসলাম হুসী, মওলানা জিয়াউর রহমান, আমির নকিব, হামলার গুরুত্বর আহত প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ সুলতান নকিবের স্ত্রী রনজিদা বেগমসহ ডেমা ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের জনগন উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে ডেমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর শেখ বলেন, প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ সুলতান নকিবের ছাগল চুরিতে বাধা প্রদান করায় ডেমা ইউনয়ন ৭নং ওয়ার্ডের মরহুম আখতার তরফদারের ছেলে জেহাদ তরফদার ও তার লোকজন তাকে ও তার স্ত্রীকে মারধর করে। তিনি বলেন, এই জেহাদ তরফদার এলাকায় একের পর এক সাধারন মানুষকে হামলা ও মারধর করে যাচ্ছে। সে বাশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহিরর চাকুরি করলেও সে ঠিক মত প্রতিষ্ঠানে যায় না। তিনি আরো বলেন, সে নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে বাধ্য করে হাজিরা খাতায় সাইন করাতে। তার বিভিন্ন অত্যাচারে ডেমা বাসি অতিষ্ট। তিনি এ ঘটনায় সঠিক বিচার দাবি করেন।
সাধারন সম্পাদক মল্লিক মেহেদী হাসান তপু বলেন, প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ সুলতান নকিব আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত কর্মী। তার উপর হামলার ঘটনায় দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর এই নেতা।
এর আগে শনিবার মোঃ সুলতান নকিবের ছাগল চুরিতে বাধা দেওয়ায় তাকে ও তার স্ত্রী রনজিদা বেগমকে বেধড়ক মারপিট ও গুরুত্বর জখম করে জেহাদ তরফদার ও তার লোকজন। এ ঘটনায় হামলার শিকার মোঃ সুলতান নকিব গুরুত্বর অসুস্থ্য অবস্থায় বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় জেহাদ তরফদার সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।