রুপম চাকমা বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি
দালালদের কুশপুত্তলিকা কাচলং নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার মুহুর্ত।
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ও সাজেকে ঘৃণ্য দালাল কুজেন্দ্র, দীপংকর, সন্তু লারমা, বীর বাহাদুর ও হাবিবুল আওয়ালের কুশপুত্তলিকা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর ২০২৩) ভোর সকালে বঙ্গলতলী এলাকাবাসী উক্ত দালালদের কুশপুত্তলিকা শুকরের সাথে আবর্জনার মধ্যে ফেলে রাখে। এ সময় একজন নারী বলেন, যারা জাতির বিরুদ্ধে কাজ করে তাদের আমাদের সমাজে স্থান নেই। তাদের স্থান হবে গরু, শুকরের সাথে। এ সময় তিনি কুজেন্দ্র, দীপংকর, সন্তু লারমা, বীরবাদুরকে দালালগিরি ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
শুকরের সাথে ফেলে রাখা হয়েছে দালাল কুজেন্দ্র, দীপংকর, বীর বাহাদুর, সন্তু লারমা ও হাবিবুল আওয়ালের কুশপুত্তলিকা।
পরে সকাল ৯টার দিকে শতাধিক নারী-পুরুষ দালালদের কুশপুত্তলিকা বাঁশের সাথে বেঁধে শুকরের মতো কাঁধে বহন করে “কুজেন্দ্র তুই দালাল-তুই দালাল; বীর বাহাদুর তু্ই দালাল-তুই দালাল: দীপংকর তুই দালাল-তুই দালাল, সন্তু লারমা তুই দালাল-তুই দালাল, হাবিবুল আওয়াল তুই দালাল-তুই দালাল” শ্লোগান দিয়ে থালাবাসনে মৃত্যুর তাল বাজিয়ে বটতলা, নুয়ো দোকান ও বঙ্গলতলির মূল সড়কে ঘুরিয়ে কাচলং নদীতে নিয়ে যায়। সেখানে দালালদের বিরুদ্ধে তারা বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। এতে শিশু, কিশোর-কিশোরীরা অংশগ্রহণ করেন।
শুকরের মতো করে দালালদের কুশপুত্তলিকা বহন করে গ্রামে, রাস্তায় ঘোরানো হচ্ছে।
দালালদের কুশপুত্তলিকা কাচলং নদীতে নেয়ার সময় শিশুরা দালাল বিরোধী শ্লোগান দিচ্ছে।
দালালদের কুশপুত্তলিকা কাচলং নদীতে ছুঁড়ে ভাসিয়ে দিচ্ছে জনতা।
এ সময় এক নারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই দালালদের কারণে আমাদের জাতি আজ নিষ্পেষিত হচ্ছে। তারা সরকারের সাথে হাত রেখে মুখোশ বাহিনী সৃষ্টি করে খুন-খারাবি করছে। আমরা আজকে এই দালালদের শায়েস্তা করে পানিতে ভাসিয়ে দেবো। যারা দালালি করবে তাদের পরিণতি এমন হবে বলে তিনি হুঁশিয়ার করে দেন।
পরে জনতা লাথি মেরে, লাঠি ও জুতাপেটা করে দালালদের কুশপুত্তলিকা কাচলং নদীতে ছুঁড়ে ফেলে ভাসিয়ে দেয়।
কাচলং নদীতে ভেসে যাচ্ছে দালালদের কুশপুত্তলিকা
অপরদিকে একই সময় উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট বাইবাছড়া গ্রামে উক্ত দালালদের বিরুদ্ধে শিশুদের নিয়ে গণআদালত বসানো হয়। আদালতে শিশুরা দালালদের বিরুদ্ধে ফাঁসির দেন। এরপর সেখানে ফাঁসির মঞ্চ বানিয়ে দালালদের কুশপুত্তলিকা ফাঁসিতে ঝুলানো হয়।
পরে উপস্থিত জনতা দালালদের কুশপুত্তলিকা রশি দিয়ে বেঁধে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে স্থানীয় একটি পুকুরে ভাসিয়ে দেয় এবং দালালদের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করে।