হাফিজ সেলিম আহমদ,স্টাফ রিপোর্টার সুনামগঞ্জ:
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ঢুলপশী গ্রামের নিজ বাড়িতে ওরসের নামে ডাক-ঢুল বাজিয়ে মদ-গাজার আসর ও অশ্লীলতা বন্ধের জন্য মৃত জহুর আলীর তিন ছেলে (২৩ জানুয়ারি) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সুনামগঞ্জ দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে। অভিযোগকারী তিন ভাই হলেন মৃত জহুর আলীর তিন ছেলে মো. খুরশেদ আলম, মো. রশীদ আলী. মো. শমসের আলী। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, তাদের ছোট ভাই মো. কামাল উদ্দিন পিতা জহুর আলী একজন পীর ছিলেন বলে গ্রাম এলাকার লোকজনের নিকট প্রচার করে বেড়ায় এবং তাদের পিতা জহুর আলী মৃত্যুর সময় কামাল উদ্দিনকে প্রতি বছর বসত বাড়ীতে ওরস অনুষ্ঠান করার কথা বলেছে গছেন। কিন্তু তাদের পিতা জহুর আলী জীবিত থাকা অবস্থায় সবসময় নিজ বাড়ীতে ওয়াজ মাহফিল করতেন। ওরসের নামে মদ গাজা ও অশ্লীলতা করতেন না তিনি। ইদানীং আমাদের ছোট ভাই মো. কামাল উদ্দিন, ওরসের নামে বখাটে যুবক যুবতীদের এনে মদ, গাঁজাসহ নাচ গানের আসর বসিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। এই বিষয়ে আমরা পরিবারের লোকজনসহ গ্রাম এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা বাঁধা নিষেধ করলে কামাল উদ্দিন আমাদেরকে মারপিট ও প্রাণনাশের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করিয়া করে। ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার দিবাগত রাতে আমাদের ছোট ভাই কামাল উদ্দিন জোরপূর্বক ওরস করাবে বলে প্রচার করিতেছে। এসব অশ্লীলতা বন্ধ ও ওরস ঠেকাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ কারী তিন ভাইয়ের বক্তব্যে জানান, আমার বাবার কবরে এসব নাচ-গান, মদ-গাজার আসর বসিয়ে বেহায়াপনা ও অশ্লীলতা করে বাবার কবরকে জাহান্নামের নরকে পৌঁছাতে চাই না। আমরা প্রশাসন সহ দেশবাসী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি বিচার প্রার্থী। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু জানান, একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।