মুন্না ইসলাম আগুন::
আওয়ামী লীগের ১৭ বছর শাসনামলে নানা নির্যাতন জেল জুলুম সহ্য করে গত ২০২৪ সালের ৩০ জুন ইন্তেকাল করেন এমপি নাদিম মোস্তফা ।
আসুন জেনে নেই কে নাদিম মোস্তফা রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী ৫ পুঠিয়া দুর্গাপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য । তিনি ১৯৯৬ সালে এবং ২০০১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে বিজয়ী হন । তার এই শাসনামলে করেছেন পুঠিয়া দুর্গাপুরের অনেক উন্নয়ন । এখনো পুঠিয়া দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরলে জনগণ বলে তার মত উন্নয়ন এখন পর্যন্ত কোন এমপি করতে পারেনি । ৫ ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন দেখে যেতে পারেননি সাবেক এই এমপি । এখনো তার জনপ্রিয়তায় মুখরিত পুঠিয়া দুর্গাপুরের প্রতিটি গ্রাম ।
তবে সাবেক এই এমপি মারা গেলেও আশার মুখ দেখছেন পুঠিয়া দুর্গাপুরের জনগণ । মৃত্যুর আগে রেখে গেছেন তার স্ত্রী এক পুত্র সন্তান ও এক কন্যা সন্তান । তার ছেলে জুলফার নাইম মস্তফা বিস্ময় যিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ।
বাবার মৃত্যুর পরও ছেলের জনপ্রিয়তা শীর্ষে । বলা হয়ে থাকে তার ছেলে রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে জনসমুদ্রে রূপ নেয়।
সরজমিনে দেখা যায় বেশিরভাগ নেতাকর্মী প্রয়াত নাদিম মোস্তফার ছেলে যুলফার নাঈম মোস্তফা কে আগামীর পুঠিয়া দুর্গাপুরের এমপি হিসেবে দেখতে চাচ্ছেন ।
উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ইমন আহমেদ সুমন বলেন নাদিম মোস্তফা ছিলেন একজন মহৎ নেতা । তার পুরো জীবনটাই দিয়ে গেছেন জাতীয়তাবাদী দলের প্রতি । আমি তার খুব কাছ থেকে রাজনীতি করেছি আমি সব সময় দেখেছি তিনি জিয়া পরিবারের বাহিরে কোন রাজনীতি করেননি । ছিলেন ম্যাডাম জিয়ার অত্যন্ত আস্থাভাজন । প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করে গেছেন সারাটি জীবন । তার এই আংশিক মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
তার মৃত্যুর পর এখন পুঠিয়া দুর্গাপুরের জনগণ তার ছেলে এডভোকেট জুলফার নাইম মোস্তফাকে এমপি হিসেবে চাচ্ছেন । আমরা দেশ নয় তারেক রহমানকে শুধু বলতে চাই তিনি যেন নাদিম মোস্তফার পরিবারের দিকে তাকিয়ে তার ছেলেকে ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে মনোনীত করেন ।
দূর্গাপুর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আঃ আজিজ মন্ডল বলেন নাদিম মোস্তফার শাসনামলে পুঠিয়া দুর্গাপুরে অনেক উন্নয়ন কাজ হয়েছে আমরা আশাবাদী তার অসমাপ্ত কাজ তার ছেলে যদি সংসদ সদস্য হতে পারেন তাহলে সেগুলো শেষ করবেন । আমরা সবাই তার ছেলের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি ।
এডভোকেট নাদিম মোস্তফার ছেলে রাজশাহী ৫ পুঠিয়া দুর্গাপুর আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট জুলফার নাইম মোস্তফা বলেন আমার বাবা সারাটি জীবন পুঠিয়া দুর্গাপুরের মানুষের সেবা করতে কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি ছিলেন পুঠিয়ার দুর্গাপুরের দুইবারের সংসদ সদস্য এবং রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সকল সভাপতি। তার জনপ্রিয়তা ছিল সবচেয়ে বেশি যার কারণে আওয়ামী লীগের ১৭ বছর শাসনামলে তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন ও জেল মামলা দেয়া হয় । মামলার বোঝা টানতে আমার বাবা শেষমেষ মৃত্যুবরণ করেন ।
তার অনেক স্বপ্ন ছিল তিনি তার নির্বাচনী এলাকা পুঠিয়া দুর্গাপুরের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবেন । কিন্তু মহান আল্লাহ পাকের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি চলে গেছেন। আমি তার ছেলে পটিয়া দুর্গাপুরে মানুষের সেবা করতে চাই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যদি আমাকে যোগ্য মনে করে ধানের শীষ মনোনয়ন দেন তাহলে আমি আমার বাবার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে চাই ।
পুঠিয়া দুর্গাপুরের মানুষের সেবা করতে চাই । তাদের সুখে দুঃখে পাশে থাকতে চাই । সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন ।