আব্দুল গাফফার শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির মিছিল ও দলীয় কার্যালয়ে সশস্ত্র হামলা-ভাঙচুরের মামলায় এক আওয়ামীলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই নেতার নাম আয়নাল হক (৫৫)। তিনি উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) দুপুরের পর তাকে বগুড়ায় আদালতে পাঠানো হয়। এরআগে গত বুধবার (০২ অক্টোবর) রাতে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের খামারকান্দি বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেরপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় আ.লীগ নেতা আয়নাল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপি নেতার দায়ের করা ওই মামলায় আসামি হিসেবে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপি, তাঁদের পুত্র ও ব্যক্তিগত সহকারিসহ (পিএস) আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরো ১৪১জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসাসি করা হয়েছে আরো অনেককে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০২৩ সালের ১৫নভেম্বর বেলা সোয়া এগারোটার দিকে শেরপুর শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের খেজুরতলাস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের পশ্চিমপাশে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ওপর স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন নেতাকর্মীরা। এসময় গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামীলীগ নেতাসহ মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্রসহ লোহার রড, লাঠি নিয়ে বিএনপির ওই মিছিলে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এমনকি বিএনপির ওই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছুড়ে এবং হাতবোমা নিক্ষেপ করেন। এসময় সোহাগ ও শান্ত নামের দুইজন গুরুতর আহত হন। এছাড়া লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বিএনপি নেতা মামুনুর রশিদ আপেল, যুবদল নেতা আশরাফুদ্দৌলা মামুন, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা শাহ কাওছার কলিন্সসহ বেশকয়েকজন নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে সশস্ত্র আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন। তাই ওই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত কেবল তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। সাধারণ কোনো নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হবে না বলে দাবি করেন তিনি।