বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
বিএনপি-জামাতসহ ১২ দলীয় ঐক্য জোট প্রধান নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে তাদের যুগোপৎ আন্দোলনের শেষ সমীকরণ হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল তাফসিল ঘোষণা করলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালিতে হাগডাগ করে আজ ১৯ নভেম্বর রবিবার ভোর ৬ টা থেকে ২১ নভেম্বর ভোর ৬ টা পর্যন্ত সারা দেশব্যাপী টানা ৪৮ ঘন্টা হরতাল কর্মসূচি দিয়ে দেশ অচল এবং নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ সহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের হুমকি দিয়ে দেশজুড়ে হরতাল কর্মসূচি আহ্বান করলেও সারাদেশে যেমন তেমন খুলনায় ৪৮ ঘন্টা হরতালের প্রথম দিনে বিন্দু পরিমাণে প্রভাব পড়েনি ১২ দলীয় ঐক্য জোটের ।
নগরীতে কোথাও দেখা যায়নি একজন পিকেটার।
জোটের নেতা কর্মীদের ও দেখা যায়নি রাজপথে।
এদিকে সোনাডাঙ্গা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোন গাড়ি না ছেড়ে গেলেও নগর জুড়ে যথারীতি চলছে যানবাহন খুলনা রেল স্টেশন থেকে যথা সময় ছেড়ে গেছে সকল রুটের ট্রেন দুটি লঞ্চ ঘাট থেকে গন্তব্যের উদ্দেশ্য ছেড়েছে লঞ্চ যাত্রীর সংখ্যা ছিলো নজরে পড়ার মতন।
খুলেছে নগরীর প্রত্যকটি মার্কেট শপিং মল দোকানপাট যথারীতি চলছে বেচা বিক্রি ক্রেতাদেরও রয়েছে যথারীতি আনাগোনা।
খুলনার একমাত্র বিলাসবহুল কেডিএ নিউমার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল গফফার বিশ্বাস বলেছেন হরতাল অবরোধ দিয়ে জনগণ এবং ব্যবসায়ীদের কোনক্রমেই ঘরবন্দী করে রাখার সুযোগ নাই।
কারণ বর্তমান দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারেই মন্দা একেতো প্রতিদিন দোকানপাট খুলে বহুনি বাট্রা করা নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা পাশাপাশি দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষদের কথা তো বাদই দিলাম। এক্ষেত্রে পেট বাঁচাতে গিয়ে কোন আন্দোলনের হুমকির কথা মনে রাখছে না সাধারণ মানুষেরা।
হাজার আন্দোলন সংগ্রাম গেলেও দীর্ঘদিন পর বিএনপি জামাত ১২ দলীয় ঐক্য জোটের দ্বিতীয় ধাপে ডাকা হরতালের প্রভাব পড়েনি খুলনায়।
নগরীর প্রধান প্রধান এলাকা গুলি প্রশাসনের কর্মকর্তারা কঠোর নজরদারীর মধ্য রেখেছে।
বিএনপি’র নেতা কর্মীদের কোন মিছিল ও পথসভা স্বরূপে না থাকলেও দেখা গেছে ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে হরতাল বিরোধী খন্ড খন্ড মিছিল।
খুলনায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকে সকল শ্রেণীর নেতা কর্মীগণ সমবেত হয়েছে।
এ সময় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন বিএনপি জামাত তাদের দোসররা স্বরূপে ফিরে জালাও পোড়াও হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে।
অথচ ২০০৭ সালে দুর্নীতিবাজ দেশের সম্পদ লুণ্ঠনকারী তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কথা থাকলেও সে তার বাবা জিয়াউর রহমানের মতই মিথ্যার পথ অনুসরণ করে লন্ডনে থাকা অবস্থায় দেশের নেতাকর্মীদের ইন্ধন দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ সহ জন মানুষের জীবনের হুমকি স্বরূপ ইন্ধন দিয়ে দলীয় ভূমিকা পালন করে দেশে জ্বালাও পোরাও মানুষ খুনের মত
অপ রাজনীতি চালাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন এটাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য আওয়ামী লীগ দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করে আর বিএনপি জামাত ও তাদের দোসররা দেশ ধ্বংসের কাজে লিপ্ত থাকে তাই হরতালের নামে হত্যা অগ্নি সন্ত্রাস ও ভাঙচুরে লিপ্ত হলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
পাশাপাশি খুলনা কে এমপি কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন হরতালের নামে কোন নাশকতা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
তাছাড়া সাধারণ মানুষের জান মালের উপরে আঘাত হানে এমন কোন ঘটনাকেও প্রশ্রয় দেওয়া হবে।তবে ৪৮ ঘন্টার হরতালের প্রথম দিনে খুলনার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।