বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো :
কর্তৃপক্ষের সঠিক পরিকল্পনা মহফিক শহর থেকে বৃষ্টির পানি ড্রেনের মাধ্যমে দ্রুত রূপসা ভৈরব ও আঠারোবেঁকি নদীতে পানি নেমে যাওয়ার জন্য তেমন কোনো কার্যক্রম ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে শেষ করতে না পারার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই খুলনা নগরীর সকল সড়ক পরিণত হয় মরণফাঁদে।
সারা বছরজুড়ে যেমন তেমন বর্ষার মৌসুমে যদি সড়ক মেরামতের কাজ অব্যাহত রেখে নগরবাসীদের ভোগান্তির মধ্য রাখা হয় তাহলে তাদের স্বস্তির যায়গাটা কোথায়।
বৃষ্টি হলেই মুহূর্তের মধ্যে শহরের প্রধান সড়কসহ অলিগলি পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে রাস্তার নমুনা হারিয়ে যায়। ফলে বর্ষার মৌসুম জুড়ে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনার কারণে শারীরিক ও অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অসংখ্য পথচারী এবং ছোট-বড় যানবাহন চালকেরা।
তারপর বৃষ্টি থামলে ধীর গতিতে বর্ষার পানি সরে গেলেও বিভিন্ন রাস্তা ও ড্রেন খোড়ার ময়লা আবর্জনা পঁচা কাঁদার উপদ্রবে উদয় হয় আরো এক দুর্বিষহ যন্ত্রণা।
ভাঙাচুরা রাস্তার কারণে না পাওয়া যায় ঠিক মতন যানবাহন না চলা যায় পায়ে হেঁটে। এদিকে ঠিকাদারদের সকল কাজের জন্য উপযুক্ত সময় যেন বর্ষার মৌসুম এবং বছরের শুকনো মৌসুম গুলো তাদের কাজের ক্ষেত্রে যেন অযোগ্য সময়। আর তাদের কাজের সুবিধার জন্য নগরীতে বসবাসরত মানুষ বাচুক মরুক সে দায়ভার মাথা ব্যথা যেন কারোরই নাই। অথচ খুলনা সিটি কর্পোরেশন থেকে প্রতিটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজের জন্য সঠিক সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও থুরায় কেয়ার করে না কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা এসব কথা বলেন খুলনা সোনালী ব্যাংকে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাংক কর্মকর্তা তিনি আরো বলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনও কর্ম চলমান কাজের নিয়োজিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানদের বিরুদ্ধে ৩১ টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগের কোন অন্ত নাই। কারণ দেখতেই তো পারছেন সামান্য বৃষ্টিতে শহর তলিয়ে পানির নিচে সাধারণ জনগণ চরম দুর্ভোগে।
গত দুদিন যাবৎ থেমে থেমে ভারী ও মুষলধারায় বৃষ্টি হওয়াতে খুলনা নগরীর অলিগলি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে জন জীবন পড়েছে বিপর্যয়ের মধ্য।
তারপর আজকে আবার খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস থেকে খুলনা দক্ষিণাঞ্চল মোংলা নদী উপকূল সমুদ্র বন্দর এলাকায় ভারী মেঘাবৃত হয়ে বৃষ্টি ঝরাবে আরো এক সপ্তাহ তার পূর্বাভাস দিয়েছেন স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্তাগণ।
অন্যদিন যেমন তেমন আজ সকাল ১১ টা থেকে মুষলধারা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে খুলনার অধিকাংশ অঞ্চল।
এতে অফিস গামী সকল মানুষদের অফিসে পৌঁছাতে পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে।
এসব ভুক্তভোগী মানুষেরা বলছে সামান্য বৃষ্টি হলে খুলনার দোলখোলা রয়্যাল মোড় শিববাড়ি সাত রাস্তার মোড় ময়লাপোতা সাহেবের কবর খানা শান্তি দাম মোড় সহ নগরীর অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে ভোগান্তিতে জনজীবন। জনজীবন ভোগান্তিতে থাকা সাধারণ মানুষের কথা নগর উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন সহ অন্যান্য সেক্টরে যথেষ্ট পরিমাণে ফান্ড থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সারা বছর সম্ভুগ গতিতে সড়ক ও ড্রেন মেরামতের কাজে চালায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো। নগরীর এমন কোন সড়ক নেই যেখানে খানাখন্দ খুঁড়ে কাজ করার দরুন চলাচলের ভিন্ন ঘটছে না।
তবে এ সকল অভিযোগর দায়ভার কোনো কর্তৃপক্ষ নিজেদের কাঁধে নিতে একেবারেই নারাজ।
এদিকে জনগণ আবারো কর্তৃপক্ষের দায় দিয়ে বলছে নির্বাচন আসার আগে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বড় বড় কথা উল্লেখ থাকলেও নির্বাচন শেষে তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না কাজ চলে যায় অন্য প্রতিষ্ঠানের অধীনে।
আর ভুক্তভোগী হয়ে অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় নগরবাসীদের।