বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো :
টানা আধা ঘন্টা বৃষ্টিতে শহর তলিয়ে পানির নিচে সাধারণ জনগণ চরম দুর্ভোগে। গত এক সপ্তাহ যাবৎ থেমে থেমে ভারী ও মুষলধারায় বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়াতে খুলনা নগরীর অলিগলি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে জন জীবন পড়েছে বিপর্যয়ের মধ্য।
তারপর আজকে আবার খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস থেকে খুলনা দক্ষিণ অঞ্চল মোংলা নদী উপকূল সমুদ্র বন্দর এলাকায় তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্তাগণ।
অন্যদিন যেমন তেমন আজ সকাল ১১ টা থেকে মুষলধারা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে খুলনার অধিকাংশ অঞ্চল।
এতে সপ্তাহের প্রথম দিনে অফিস আদালত গামী সকল মানুষদের অফিসে পৌঁছাতে পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে।
এসব ভুক্তভোগী মানুষেরা বলছে সামান্য বৃষ্টি হলে খুলনার দোলখোলা রয়্যাল মোড় শিববাড়ি সাত রাস্তার মোড় ময়লাপোতা সাহেবের কবর খানা শান্তি দাম মোড় সহ নগরীর অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে শহরের প্রধান প্রধান সড়কের নমুনা ও ভাঙাচোরা খানাখন্দর চিহ্নিত করতে না পেরে রিক্সা ও ইজিবাইক যাত্রীসহ এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে হতাহত হচ্ছে। তারপর আবার নগরীর বেশ কিছু সড়ক দীর্ঘদিন ধরে ধীরগতিতে মেরামতের কাজ চলার কারণে আরো দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ নগরবাসী।
এ ব্যাপারে তারা কট্ঠর ভাবে সিটি কর্পোরেশন রোড এন্ড হাইওয়ে ও ওয়াসা কর্তৃপক্ষর কর্তাদের দোষারোপ করছে।
তাদের কথা নগর উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন সহ অন্যান্য সেক্টরে যথেষ্ট পরিমাণে ফান্ড থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সারা বছর সম্ভুগ গতিতে সড়ক ও ড্রেন মেরামতের কাজে চালায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো। নগরীর এমন কোন সড়ক নেই যেখানে খানাখন্দ খুঁড়ে কাজ করার দরুন চলাচলের ভিন্ন ঘটছে না।
তবে এ সকল অভিযোগর দায়ভার কোন কর্তৃপক্ষ নিজেদের কাঁধে নিতে একেবারেই নারাজ।
এদিকে জনগণ আবারো কর্তৃপক্ষের দায় দিয়ে বলছে নির্বাচন আসার আগে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বড় বড় কথা উল্লেখ থাকলেও নির্বাচন শেষে তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না কাজ চলে যায় অন্য প্রতিষ্ঠানের অধীনে।
আর ভুক্তভোগী হয়ে অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় নগরবাসীদের।

