ইব্রাহিম খলিল শার্শা প্রতিনিধি
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কতৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনাশ পরিচালিত বেনাপোল স্থলবন্দর ১৪ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি: তারিখে কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল এর শুভ উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় উপদেষ্টা জনাব বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড.এম সাখাওয়াত হোসেন, এনডিসি,পিএসসি। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) জনাব দেলোয়ারা বেগম। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান জন্য মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান।যশোর জেলা প্রশাসক জনাম মো. আজহারুল ইসলাম সহ সরকারি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
নবনির্মিত এই কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালটি ৪১.০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে নির্মাণ করা হয়েছে। টার্মিনালটিতে একসাথে প্রায় ১৫০০টি ট্রাক ধারণের সক্ষমতা রয়েছে। এখানে পার্কিং ইয়ার্ড, অভ্যন্তরিণ রাস্তা, সকল সংস্থার কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য কার্গো ভবন , টার্মিনাল ব্যবহারকারীদের বন্দর সেবা ভবন,নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য আধুনিক ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা ও সিসিটিভি স্থাপন, আধুনিক ওয়াশ ব্লক, ১০০ মে.টন ক্ষমতার ওয়ব্রীজ স্কেল ০২ ও ড্রেনেজ সিস্টেমসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি। যানজট নিরসন এবং স্থলপথে বাণিয্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণে ২০২২ সালে ৩২৯,২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্পাদিত হয়।বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে স্থলপথে প্রায় ৮০% আমদানি- রপ্তানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে। এ বন্দরের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০টি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক এবং ৪৫০-৫০০ টি বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে আগমন করে। কিন্তু বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের পর ব্যবহারযোগ্য কোন টার্মিনাল না থাকায় অধিকাংশ পণ্যবাহী ট্রাক সড়কের উপর অবস্থান করতো।এতে বেনাপোল স্থলবন্দরে সার্বক্ষনিক যানজটের সৃষ্টি হতো।যার ফলে স্বাভাবিক আমদানি- রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়।কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালটি নির্মাণের ফলে পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের পর এ টার্মিনালে নিরাপদে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে বেনাপোল স্থলবন্দরের দক্ষতা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পাবে এবং আমদানি -রপ্তানি কাজে।