বিপ্লব সরকার, স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ
‘এক লাখে প্রতিমাসে মুনাফা হয় আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত মুনাফা, নওগাঁয় প্রলোভনে গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও হওয়া একটি সেভিংস এন্ড ক্রেডিট কো -অপারেটিভ সোসাইটির মালিকসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে রাব। রোববার নারায়ণগঞ্জের তারাব বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে ডলফিন এনজিওর আব্দুর রাজ্জাককে এবং অপর আরো পাঁচ জনকে নওগাঁর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এই দিন বিকেলে রাব থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ডলফিন এনজিওর মালিক নওগাঁর সদর উপজেলার ফতেহ পুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক সহ(৪৩)আটক অন্যরা হলেন রিপন হোসেন (১৮) আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী সুমি (৩২) রজাকপুর গ্রামের পিয়ার আলী (৪০) পিয়ার আলীর স্ত্রী শিল্পী বেগম (৩৫)এবং ইকরতারা গ্রামের আতোয়ার রহমান আতা (৬০)।
রাব জানায়, আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালে ডলফিন সেভিংস এন্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড রেজি(১২৪৩)নামে একটি সংস্থা গড়ে তোলেন।
গ্রামের সহজ সরল মানুষকে লোভ দেখিয়ে লাখে প্রতিমাসে তার এনজিওতে দুই হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা মুনাফা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেই।
গ্রাহক মুনাফা প্রথম তিন মাস পেলেও, পরে মুনাফা বন্ধ করে উধাও হয়ে যায়, এনজিওটির কর্মকর্তারা।
ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়,সঞ্চয়ের টাকা তুলতে গেলে বিভিন্ন তাল বাহানা করা হয়। জানুয়ারি মাসে আব্দুর রাজ্জাক, শিল্পী বেগম, সুমি আক্তার, পিয়ার আলী, এবং রিপন হোসেন গ্রাহকদের টাকা নিয়ে উধাও হন।
এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর থেকে রাব-৫ এর গোয়েন্দা দল তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত সবাইকে গ্রেফতার করে।
এদিকে নওগাঁ জেলার সমবায় অফিসার খোন্দকার মনিরুল ইসলাম জানান, গত বছরের জুনে ওই সংস্থা পরিদর্শন করেন ৩৮ লাখ টাকা আমানতের তথ্য পাওয়া যায়।তবে ছয় মাসের ব্যবধানে কোটি কোটি টাকা কিভাবে লেনদেন হয় তা জানা নেই। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর প্রতিবেদন হাতে পেলেই দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নওগাঁ সদর থানার অফিসার জাহিদুল হক জানান, আটকদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করে বিকেলেই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।