মোঃ আশরাফুল ইসলাম,মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি.
মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে দমনে ব্যবহৃত জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা সুলতানুল আজম খান আপেলের শর্টগান উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় মানিকগঞ্জ থানাধীন মানোরা এলাকায় বন বিভাগের উত্তর পাশে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢালে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা শর্টগানটি উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (৪ঠা অক্টোবর) মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধারের বিষয় নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে (৩রা অক্টোবর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় মানিকগঞ্জ থানাধীন মানোরা এলাকায় বন বিভাগের উত্তর পাশে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢালে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা একটি শর্টগান উদ্ধার করা হয়। অস্ত্রটি ১২ বোর সচল শর্টগান, কাঠের বাট সহ ব্যারেল পর্যন্ত লম্বা ৩৪.৫ ইঞ্চি, অস্ত্রের গায়ে ইংরেজিতে Daglioglu Silah. 16 F.D 63, Made in SANLIURFA/ TURKEY লেখাসহ একটি খালি ম্যাগজিন সংযুক্ত আছে।
উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বে গত ৪ঠা আগষ্ট এই অস্ত্র সংক্রান্তে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, প্রভাবশালী নেতা সুলতানুল আজম খান আপেল এর লাইসেন্সকৃত একটি অস্ত্র খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা মর্মে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি জিডি করেন। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের সাথে জিডির দায়ের কৃত অস্ত্রের মিল পাওয়া যায়। বর্তমানে উক্ত শর্টগানটি মানিকগঞ্জ থানার মালখানায় জমা আছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৪ঠা আগস্ট সকালে ছাত্র-জনতা জেলা শহরের মানরা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এর কিছুক্ষণ পর জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেন। পরে ছাত্র-জনতার ধাওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেলের লাইসেন্স করা শর্টগানটি ছিনিয়ে নেয় ছাত্র-জনতা।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম আমান উল্লাহ জানান, গত ৪ঠা আগস্ট সুলতানুল আজম খান নিজের লাইসেন্স করা একটি আগ্নেয়াস্ত্র খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা মর্মে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। উদ্ধার করা অস্ত্রটির সঙ্গে জিডি করা অস্ত্রের মিল পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।