আবু তালহা রাফি, চবি
আজ রবিবার (১৬ই মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় ভারতে মুসলমানদের উপর ক্রমাগত হামলা ও ধর্মীয় স্থাপনা ভাঙ্গার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)-এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি চবির জিরো পয়েন্ট থেকে সোহরাওয়ার্দী হলের দিকে যাত্রা শুরু করে তারা। এসময় ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দিবে জনগণ’, ‘পেতে চাইলে মুক্তি, ছাড়ো ভারত ভক্তি’ সহ বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
মিছিলটি সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে উপস্থিত হলে বক্তব্য পর্ব শুরু হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন চবি শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান, তিনি বলেনঃ আজকে আমরা হৃদয়ে হতাশা ও রক্তক্ষরণ নিয়ে দাড়িয়েছি, আজ যারা আমাদের সকাল সন্ধ্যা নীতি বাক্য শোনায় তারাই মুসলমানদের উপর নির্বিচারে নির্যাতন করছে, তাদের ঘর বাড়ি মিশে দিচ্ছে। তারা যদি এরকম আগ্রাসন জারি রাখে, তাদের জেনে রাখা উচিত আমএয়া খালিদ বিন ওয়ালিদের উত্তরসূরী, আমরা উমরের উত্তরসূরি, আমরা জাগলে কেউ মোকাবিলা করতে পারবে না। আমরা বলতে চাই আপনারা নিজেদের ভালো চাইলে মুসলিম নিধন বন্ধ করুন, হত্যা লুন্ঠনের বিচার করুন।
১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী নিয়ামত-উল্লাহ বলেনঃ গত ৩০ বছরে ভারতের আগ্রাসন অত্যাধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। পৃথিবী যখন সভ্যতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন তারা আধিপত্য বিস্তারের অপচেষ্টা করছে। তারা যদি মসজিদ ভেঙে মন্দির তৈরির স্পর্ধা দেখায় তাহলে আমরা সম্রাট শাহজাহানের মতো মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করবো আবার, তাদের উগ্রতা বজায় রাখলে আমরা মুহাম্মদ বিন কাশিম হয়ে সবকিছু গুড়িয়ে দিবো। মুসলমানদেরকে গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে ভারতে। স্বরণ করো রাসুল (সা:) -এর সেই ভবিষ্যত বাণী যেখানে বলা হয়েছে অতিদ্রুত কালো পতাকাধারী বাহিনী ভারতবর্ষের পদার্পন করবে এবং সেখানকার সকল আধিপত্যবাদকে পরাজিত করবে। সুতরাং, তোমরা যদি নতুন করে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করো তাহলে মনে রেখো আমরা সেগুলো গুড়িয়ে দিবো।
আমাদের দেশের সম্প্রীতি নিয়ে উচ্চবাচ্য করবেন না। আমাদের দেশে মন্দির, মসজিদ সব আছে এবং মসজিদে আযান হলে তারা বাধা দেয় না আবার তাদের মন্দিরকে আমরা পাহারা দেই, সবাই মিলেমিশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থাপন করি। আমাদের ভিতরে বিদ্যমান সম্প্রীতির ফাটল সৃষ্টির নতুন করে চেষ্টা করবেন না।
সর্বশেষ বক্তব্য রাখেন ইসহাক ভুইয়া, তিনি বলেনঃ ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদ শাসনের সমাপ্তিলগ্নে, ৫ই আগষ্টের পরবর্তীতে ‘র’ এর এজেন্টের মাধ্যমে এদেশে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর অপচেষ্টা করেছিল ভারত। তারা সে সময় দিল্লির মসনদে বসে এদেশের সম্প্রীতি নিয়ে বাণী দিচ্ছিল। অথচ তারা মুসলমানদের মসজিদ দখল করছে, তাদের উপর নির্যাতনের স্টীম রোলার চালাচ্ছে, আমরা দ্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, তাদের এ আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। আমরা ভারতের মুসলমানদের পাশে আছি, এবং আমরা সবসময় পাশে থাকবো। মুসলমানরা একটা দেহের মতো, তাদের ব্যথায় আমরা ব্যথিত।
তাদের উপর যে নির্যাতন চলছে তা অতিশীগ্রই বন্ধ করতে হবে, সেখানে পারস্পরিক সম্প্রীতি সৃষ্টি করতে হবে।