বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
যে কথা সেই কাজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খরগো এখন বাংলাদেশের দিকে সকল প্রকার বাণিজ্যিক বন্ধ ঘোষণার পর পরই গেল পাঁচ আগস্ট রাজনৈতিক চাপের মুখে যে সকল আওয়ামী লীগ পন্থী নেতাকর্মীগণ ভারতে অনুপ্রবেশ করে বেশ আরাম-আয়েশে জামাই আদরে দিন কাটাচ্ছিল এবার তাদের পুশব্যক তৎপরতায় ভারত প্রশাসন, কারণ গেল এক সপ্তাহ আগে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যে সকল অবৈধ বাংলাদেশিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে অবৈধভাবে রয়েছে তাদেরকে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য আদেশ প্রজ্ঞাপন জারি করে সতর্ক করে দিয়েছিল আর তারই রেস ধরে গতকাল রবিবার অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে রহড়া থানা পুলিশ তার মধ্যে তিনজনই খুলনা।
পরে আদালতে তোলা হলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
রোববার (১৮ মে) ব্যারাকপুর মহকুমা আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মজনু গাজী, মোহাম্মদ কামাল শেখ ওরফে ইদ্রিস আলী ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ওরফে মিলন। এর মধ্যে মজনু গাজী ও কামাল শেখ খুলনার বাসিন্দা। তবে মেহেদী হাসানের বাড়ির ঠিকানা জানা যায়নি বিষয়টি ভারতের এক গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে । এর আগে আটককৃতদের ৫ দিন ধরে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছিল। প্রথমে রহড়া এলাকা থেকে মজনু গাজী ও কামাল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পরবর্তীতে কলকাতার নিউটাউনের লস্করপাড়া এলাকা থেকে মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট ১৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় রোববার তাদের আদালতে পাঠানোর সময় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। জানা যায়, তারা তিনজনই বাংলাদেশের সাবেক ক্ষমতাসীন ও সম্প্রতি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। কামাল শেখ জানান, তিনি খুলনা বেদকাশির ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য সচিব ছিলেন। বাকি দু’জনও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন পুলিশের কাছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তারা ৮ আগস্ট সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে পুলিশের হাত থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে রাজ্যটির ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীন রহড়া থানার অন্তর্গত বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাদের শেষ রক্ষা হয়নি।ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম বলাতে আরো জানা গেছে শুধু পাঁচ আগস্টেই অনুপ্রবেশকারীরাই নয় এর আগেও যে সকল বাংলাদেশীরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে অবৈধভাবে রয়েছে তাদেরকেও তল্লাশি করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।