আমিরুল ইসলাম ,পঞ্চগড়ঃ
ক্যান্সারে আক্রান্ত মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে মরিয়মের পরিবার। মরিয়ম ও তার পরিবারের চোখে অমানিশার ঘোর অন্ধকার নেমে এসেছে।
গত কয়েকমাস আগে ঠাকুরগাঁও এ একটি হাসপাতালে মরিয়মের স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে। চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা অথবা দেশের বাইরে নিয়ে যেতে বলেছেন।তীব্র যন্ত্রনায় দিন-রাত বিছানায় কাতরাচ্ছে মরিয়ম। স্বামীর বোঝা হওয়ায় রেখে গেছে বাবার বাড়িতে এদিকে বাবাও তার পা ভেঙ্গে পড়ে আছে চিকিৎসা করানোর উপায নেই। ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে সে। মানুষ দেখলে চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে বলে আমাকে বাঁচান, আমি বাঁচতে চাই।
মরণব্যাধি স্তন ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন মরিয়ম বেগম (৩৮)।
মরিয়ম পঞ্চগড় পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব তুলারডাঙ্গা এলাকার প্রতিবন্ধী দম্পতি মোস্তফা- ফুলজান বেগমের মেয়ে। ২০১৯ সালে দেবীগঞ্জের বাগদহ গ্রামের তোয়াবুর রহমানের সাথে বিয়ে হয় তার।চার বছরের একটি মেয়েও আছে। মরিয়ম ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ায় বাবা বাড়িতে রেখে গেছে স্বামী তোয়াবুর রহমান।
এখন প্রতিবন্ধী দম্পতি ক্যান্সার আক্রান্ত মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। মরিয়ম ও তার পরিবারের চোখে অমানিশার ঘোর অন্ধকার নেমে এসেছে। চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই মানুষ দেখলেই চিৎকার করে কেঁদে মরিয়ম বলে আমাকে বাঁচান। প্রতিদিন রাতে মরিয়মের চিৎকার প্রতিবেশীরা পারছেনা ঘুমাতে। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু নিশ্চিত জেনে শুধু ব্যাথার ওষুধ চায় পরিবার টি যেন যতদিন বেঁচে আছে কষ্টটা যেন কম হয়।
গত কয়েকমাস আগে ঠাকুরগাঁও এর একটি হাসপাতালে মরিয়মের স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে।চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা অথবা দেশের বাইরে নিয়ে যেতে বলেছেন।তীব্র যন্ত্রনায় দিন-রাত বিছানায় কাতরাচ্ছে মরিয়ম। স্বামীর বোঝা হওয়ায রেখে গেছে বাবার বাড়িতে এদিকে বাবাও তার পা ভেঙ্গে পড়ে আছে চিকিৎসা করানোর উপায নেই তার। ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে সে।
মরিয়মের বাবা মোস্তফা জানান,গত কয়েকমাস ধরে মেয়ের চিকিৎসা চালিয়ে আসতেছি আর কুলায় উঠতে পারিনা।
চিকিৎসা করাবো কিভাবে বর্তমান নিজেও চলতে পারছিনা।খুবই অসহায় মনে হচ্ছে,চোখের সামনে মেয়ের এমন পরিস্থিতি দেখে।
নিরুপায় মরিয়ম তার অসহায় পরিবার সুচিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগীতা চেয়ে আকুতি জানিয়েছেন। মরিয়মের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যম এবং বিকাশ ও নগদ একাউন্ট নম্বর- ০১৭৯৯৬৩০৫৫৯।