বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
পবিত্র ঈদুল আযাহার বাকি মাত্র হাতেগোনা কয়েকদিন আর সে লক্ষ্য খুলনার মসলা ব্যাবসায়ীরা ঈদ আসতে না আসতেই শুরু করেছে নানান তেলেসমাতি আর ঊর্ধ্বতন কোন এক অদৃশ্য খুঁটির জোরে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ সিন্ডিকেট কালোবাজারি ব্যবসা শোষণ করছে নিরুপায় সাধারণ ভক্তাদের রক্ত ঘামানো কষ্টার্জিত পয়সা।
ফলে সাধারন মানুষের প্রকাশ্য অভিযোগ ও নিন্দনীয় ভাষায় ওই সকল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য কটাক্ষ করে বলেছেন আমাদের দেশের ব্যাবসায়ীরা যেকোনো উৎসব আগমনের আভাস পাওয়ার সাথে সাথেই উৎসবকে পুঁজি করে দেশের সাধারণ জনগণের কথা বিবেচনায় না রেখে সকল ধরনের নিত্য পণ্যের মূল্য বাড়ানো মহাযজ্ঞ প্রথা চিরাচরিত প্রবনতা ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন কিছুই না।
আর তারই ধারাবাহিকতায় এবছরও মসলার উগ্র ঝাঁঝালো ঝাঝে ঝলসে উঠেছে খুলনার পাইকারি ও খুচরা বাজার ইতোমধ্য সব ধরনেরই দেশি-বিদেশি মসলার দাম মাসের শুরু থেকেই কোরবানি ঈদকে কুক্ষিগত করে মূল্য বৃদ্ধির লাগামহীন পাগলা ঘোড়া ছুটে চলেছে গন্তব্যেহীনের উদ্দেশ্য। আর এই পাগলা ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরতে সরকারি মহল একেবারে নিরুপায় নামে মাত্র বাজার মনিটরিং এর জন্য ভোক্তা অধিকার সংস্থা নিয়োগ থাকলেও তাদের তাৎপরতা রয়েছে একেবারেই ঢিলেঢালা। অতএব সব কিছুরই সুযোগ বুঝে বেড়েছে জিরা, এলাচি, ধনে, গোলমরিচ, গরম মসলা, পোস্ত দানা, আলু বোখারা, কিচমিচ, ডালডা,দারুচিনি, লবঙ্গ, শাহাজিড়া, শাহমরিচ, শুকনো ঝাল, হলুদ, লবন, আস্ত গুঁড়ো সহ সকল ধরনের মসলার দাম।আর মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা ডলারের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে এধরণের অনৈতিক ব্যবসায়িক সুবিধা দেখিয়ে সকল ধরনের নিত্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পায়তারাকে কঠোর সমালোচনা করে সাধারণ ক্রেতারা দোষারোপ করছে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের। অপরদিকে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা সকল ধরনের নিত্য পণ্য মূল্য বৃদ্ধির কোন দায়ভারের অজুহাত তাদের গায়ে বর্তাতে না চেয়ে উপরন্ত বৈদেশিক মুদ্রার সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির কথা এবং আমদানি সংকট ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী আমলাদের নেতিবাচক অজুহাত দেখিয়ে গা ভাসাচ্ছে মূল্য বৃদ্ধির উজান স্রোতে। সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগের সূত্রে খুলনা পাইকারি বড়বাজার সহ বেশ কয়েকটি বাজার সরজমিনে ঘুরে ক্রেতাদের অভিযোগের বাস্তব সত্যতার প্রমাণে দেখা গেছে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে এলাচ কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০০ টাকা, জিরায় বেড়েছে ১৫৫ থেকে ১৬০, টাকা শুকনা মরিচে ৮০ টাকা, আদা কেজি প্রতি ৬০ টাকা, রসুনে ৮০, পেঁয়াজ বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গরম মসলাও রয়েছে এগিয়ে , পিছিয়ে নাই তেল, ডালডা, চিনি, সেমাই, এমনকি কাচা বাদাম, কিচমিচ, সব কিছুরই সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় রিমেলের অজুহাতে থেমে নাই কাঁচা তরকারি দাম বেড়েছে আলু, পটল, সিম, উস্তে, ভেন্ডি, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, পেঁপে, ডাটা, কুমড়ো, বেগুন সহ সকল ধরনের শাক সাথে ডবল সেঞ্চুরি পার করেছে কাঁচা মরিচ। তবে বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও দাম বেড়েছে ডিমের যা হালি প্রতি বেড়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা অপর দিকে সোনালী ও কক মুরগীর দাম ২৮০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে। সব কিছু মিলে চরম অস্বস্তির মধ্যে ভোক্তারা।