মোঃ আব্দুল আজিজ বিশেষ প্রতিনিধি নওগাঁ
নওগাঁর মহাদেবপুরে চাঁদবাজী করায় কথিত দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ। থানায় হওয়া একটি মারামারি মামলা থেকে আসামীর নাম কেটে দেয়ার জন্য ৪৫ হাজার টাকা চাঁদাবাজী করে কথিত ওই দুই সাংবাদিক। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মামুনুর রশিদ শুক্রবার রাতে উপজেলার কুঞ্জবন গ্রামের লতিফর রহমানের ছেলে কথিত সাংবাদিক মিজানুর রহমান মানিক ও মধ্যবাজারের মৃত কাজী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে দৈনিক সংবাদ, দৈনিক ডেল্টা টাইমস, দৈনিক নওরোজ এর মহাদেবপুর প্রতিনিধি এবং ফেসবুক আইডি মহাদেবপুর দর্পণের সম্পাদক কিউ এম সাঈদ টিটোর বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় চাঁদাবাজীর লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিক মহল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাচাত ভাই মিঠুন আলীর সাথে উপজেলার চক দাশড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে মামুনুর রশিদের মারামারি হয়। এ ঘটনায় মিঠুন আলী বাদী হয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর মামুনুর রশিদ, তার বাবা আশরাফুল ইসলাম, স্ত্রী মুনি বেগম ও ছেলে আব্দুল মমিনসহ কয়েকজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ মামুনুর রশিদকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পরে মামুনুর রশিদ আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসলে ওই দুই কথিত সাংবাদিক মিজানুর রহমান মানিক ও কিউ এম সাঈদ টিটো থানা থেকে মামুনুর রশিদের ছেলে আব্দুল মমিনের নাম কেটে দেয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা দাবী করে। এ ছাড়াও পতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অপর একটি মামলা করে দেয়ার কথা বলে আরো ১০ হাজার টাকা দাবী করে। নিরুপায় মামুনুর রশিদ মামলা থেকে ছেলের নাম কেটে নেয়ার জন্য মিজানুর রহমান মানিক ও কিউ এম সাঈদ টিটোকে কয়েক দফায় বিকাশ ও হাতে নগদে ১৫ হাজার টাকা দেয়। এছাড়াও অপর মামলাটি করে দেয়ার জন্য আরো ১০ হাজার টাকা প্রদান করে। টাকা পাওয়ার পর মামলা থেকে আব্দুল মমিনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে জানিয়ে আব্দুল মমিনকে আদালতে হাজিরা দিতে বলে কথিত ওই সাংবাদিকরা। পরে আব্দুল মমিন গত ২৪ ডিসেম্বর আদালতে হাজিরা দিলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। বিষয়টি মামুনুর রশিদ কথিত সাংবাদিক মিজানুর রহমান মানিক ও কিউ এম সাঈদ টিটোকে জানালে তারা কাজ করে দেয়ার জন্য আরো ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে মহাদেবপুর থানার ডিউটি অফিসার এ এস আই সজিব রায় বলেন, সাংবাদিকদের সাথে কথা হলে তারা টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ওসি মোঃ হাশমত আলী বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই।