মো. আতিকুর রহমান আজাদ মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
পাঁচ বছরের প্রেম সব হারিয়ে এখন প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন। এমন ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পূর্ব কমলাপুর গ্রামের কম্পিউটারের দোকানি নাসির উদ্দিন মাতুব্বরের বাড়িতে। প্রেমিকের সাথে পাঁচ বছরের সম্পর্কের পরও এখন বিয়েতে অনীহা দেখানো কারনে প্রেমিকার এই অনশন করছেন বলে জানা গেছে। এদিকে ওই ২২ বছরের যুবতী নারীকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই প্রেমিকা। অপরদিকে স্থানীয় মাতুব্বরদের সমঝোতার আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন ওই যুবতী। আজ শনিবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী যুবতীর দাবি, ২০২১ সালের ১০ জুন উপজেলার কমলাপুর বাজারে নাসিরের কম্পিউটারের দোকানে ফোন মেরামত করতে গিয়ে তাদের পরিচয়। সেখান থেকেই শুরু হয় প্রেমের সম্পর্ক। দুজনে কুয়াকাটাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান এবং তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে চলে যান যুবতী নারী। দেশে ফিরে বিয়ের প্রস্তাব দিলে প্রেমিক নাসির উদাসীনতা দেখাতে থাকেন এবং একপর্যায় যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এতে হতাশ হয়ে প্রেমিকা সরাসরি প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। পরে স্থানীয় মাতুব্বরদের সমঝোতার আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন ওই যুবতী।
অনশনে থাকা যুবতী বলেন, নাসির আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব। আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। ও আমার কাছ থেকে সব ডকুমেন্টও নিয়ে গেছে। যতক্ষণ না নাসির আমাকে বিয়ে করে, আমি এই বাড়ি থেকে যাব না। এখন স্থানীয় মাতুব্বররা সমঝোতার আশ্বাস দিয়েছেন তাই আমি অনশন ভাঙলাম। তবে আমি সঠিক বিচার না পেলে আমি মামলা করবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুব বেশ কয়েকজন স্থানীয় সালিশ বলেন, উভয় পক্ষের সম্মানের দিক বিবেচনা করে আমরা এ বিয়টি মিমাংসা করার উদ্যোগ নিয়েছি।
নাসিরের বাবা খলিল মাতুব্বর বলেন, ৫ বছর প্রেম করছিল, অথচ ঘোরাঘুরি বা সম্পর্কের কোনো প্রমাণ নেই। তাহলে কীভাবে আমি মেনে নেব যে, সে আমার ছেলের স্ত্রী হতে চায়। তবে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মাতুব্বররা যে সিদ্ধান্ত দিবেন তা আমি মেনে নেব।
এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি শেখ মো. এহতেশামুল ইসলাম বলেন, ওই যুবতী নারী মামলা দিলে তা নেয়া হবে।