মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ,মাদারীপুর,প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের ডাসারের পশ্চিম মাইজপাড়া আদর্শ এতিমখানা এতিম ছাত্র না থাকার পরও বছরের পর বছর সমাজসেবা কার্যালয় থেকে এতিম ছাত্রের তালিকায় অর্থ উত্তলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চলতি বছরের অনুদানের অর্থ বন্ধ রেখেছেন সমাজসেবা কার্যালয়।
সরেজমিন ও সমাজসেবা কার্যালয় সুত্রে জানা যায়,মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়নে পশ্চিম মাইজপাড়া আদর্শ এতিমখানা নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২০০৯ সনের ১১ আগস্ট প্রতিষ্ঠা করেন এ্যাডঃ আলহাজ্ব মাজেদ মিয়া। সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধনকৃত বেসরকারি এতিমখানা ক্যাপিটেশন প্রাপ্ত।যাহার রেজি নং ৩৫৪.
সরকারি নীতিমালায় মোতাবেক দেখা যায় উক্ত প্রতিষ্ঠানে সর্বনিন্ম ১০ জন এতিম ছাত্র থাকলে সরকারি অনুদান প্রাপ্ত/অর্থ গ্রহন করা যাবে। প্রতিটি এতিম ছাত্রকে মাসে ২০০০/ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। বছরে দুইবার(ছয় মাস অন্তর অন্তর) সমাজসেবা কার্যালয় থেকে চেক হস্তান্তর করা হয়।
তিন মাসে তিনবার ওই পশ্চিম মাইজপাড়া আদর্শ এতিমখানায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আব্দুল্লাহ বেপারী,সোহান বেপারী,মোঃ আল আমিন,সাব্বর মোল্লা ও রোহান নামে ৫জন ছাত্র উপস্থিত রয়েছে এবং তাদের মধ্যে মোঃ আল আমিন ও সাব্বির মোল্লা নামে ২জন ছাত্র এতিম বাকি তিনজন ছাত্রের বাবা মা রয়েছে।
হাজিরা রেজিস্টারে চলতি মাসের ৬ তারিখ অতিবাহিত হলেও হাজিরা রেজিস্টারে উক্ত মাসের কোন হাজির ছাত্রদের তালিকা তৈরি করেননি।
দায়িত্বে থাকা শিক্ষক হাফেজ মোঃ আব্দুল আজিজ বলেন, আমরা দুইজন শিক্ষক এখানে দায়িত্বে আছি। আমাদের মোট ছাত্র ১৩ জন আজ সবাই নেই তারা বাড়িতে গেছে। গত একমাস আগে এসেতো এই ৫জন ছাত্র দেখি,এই মাসেও ওই ৫জন। তিনি বলেন ওইদিন বাকিরা বাহিরে ছিল।
এ ব্যাপারে অত্র আদর্শ এতিমখানার সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা এ্যাডঃ আলহাজ্ব মাজেদ মিয়া‘র কাছে মুঠোফোনে যানতে চাইলে তিনি বলেন,আপনি জানতে চাইবেন কেন, আপনার প্রয়োজনটা কি বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফেরদৌসী আক্তার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে ছিলাম। পরিচালক বরাবর একটি প্রতিবেদনও আমরা পাঠিয়েছি এবং বর্তমানে তাদের এই চলতি বছরের অনুদানের চেক দেয়া হয়নি।