মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ,মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের ডাসারে রেমিডেন্স যোদ্ধা ইতালী প্রবাসীর বিল্ডিং ঘর নির্মানে চাদা না দেয়ায় হামলা করে মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত সোমবার সকাল ১০ ঘটিকায় বালিগ্রাম ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ন্যায় বিচারের আসায় এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন বলে আজ বুধবার ভুক্তভোগী পরিবার জানান।
সরেজমিন ও মামলা সুত্রে জানা যায়,মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউণিয়নের পশ্চিম বালিগ্রাম এলাকার মৃত শফিজদ্দিন সরদারের রেমিডেন্স যোদ্ধা ইতালী প্রবাসী ছেলে মোঃ হান্নান সরদার দীর্ঘদিনের কষ্টে অর্জিত অর্থ দিয়ে তার নিজ বসত বাড়ির জায়গায় একটি বিল্ডিং ঘর তার বৃদ্ধ মা নুরজাহান বেগমের মাধ্যমে নিমানের কাজ শুরু করেন। একই এলাকার মৃত মুজাই সরদারের ছেলে সেলিম সরদার দুই লক্ষ টাকা চাদা দাবি করেন। নুরজাহান বেগম দাবিকৃত চাদার টাকা না দেয়ায়,দেশীয় অস্রসস্রে সজ্জিত হয়ে ১০/১৫ জন মিলে বাদির নিজ বসত ঘরের সামনে গিয়ে চাদার টাকা দাবি করে খারাব ভাষায় গালাগাল করতে থকেন। এ সময় বাদির মা নুরজাহান বেগম ঘরের বাহিরে এসে গালাগাল করতে নিশেধ করেন এবং চাদার টাকা দিয়ে অস্বিকার করায় তাকে চতুর দিক দিয়ে ঘীরে ধরেন। এসময় মামলার ১ নং আসামীর হুকুম দিয়ে বলেন চাদা না দিলে ওকে কোপাইয়া এবং পিটাইয়া টাকা না দেয়ার স্বাদ মিটাইয়া দেয়।
তার হুকুমে মামলার অন্য আসামীরা মাহমুদা বেগম নুরাহান বেগমকে মারধর করেন। ঘরের দরজা জানলা ভেঙ্গে ঘরে ভিতর গিয়ে আলমারীর তালা ভেঙ্গে নগদ এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা,৫ স্বর্ন, গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন নিয়ে যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার মাদারীপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে ৬ জন আসামীর নাম উল্লেখ এবং অঞ্জাত ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদি মাহমুদা বেগম বলেন, আমার ভাই বিদাশে অনেক কষ্ট করে টাকা অর্জন করে একটা বিল্ডিং ঘর নির্মান করতেছে। এখন সেলিম সরদার দুই লক্ষ টাকা চাদা দাবি করেন। টাকা না দেয়ায় লোকজন নিয়ে আমাদের মারধর করেন। ঘরের ভিতর ঢুকে আলমারীর তালা ভেঙ্গে দেড় লাখ নগদ টাকা,আলমারীতে থাকা ৫ ভরি স্বর্ন ও আমার গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন নিয়ে যায়।
এ সময় তারা আরও বলেন বেশী বারাবারি করলে মেরে গুম করার হুকমি প্রদান করেন।
অভিযুক্ত মামলার ১ নং আসামী সেলিম সরদার মুঠোফোনে বলেন, আমার সাথে জমি নিয়ে একটু বিরোধ চলছে। আমি তার কাজ থেকে ১০ শতাংস জমি ক্রয় করেছি,আমি আমার জমিতে কাজ করতে গেলেই তারা ঝগড়া লাগিয়ে থাকেন। এলাকার সবাই জানানে,আপনারাও খবর নিয়ে দেখেন।.