মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ,
মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের ডাসারে লক্ষ্মী পুজায় ভাড়াকৃত মেয়েদের দিয়ে অশালীন নৃত্য পরিবেশন। শিশু সহ যুবসমাজের চরম অবক্ষয় বলে জানান শিক্ষিত সমাজ। গতকাল শনিবার রাত ১০টা থেকে ভোররাত পর্যন্ত ভাড়া করা নর্তকী দিয়ে চলে অশালীন নৃত্য। ডাসার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন এ ধরনের অশালীন নৃত্যের কোন সুযোগ নেই।
সরেজমিন ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের বেতগ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক নবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পুলিন বিহারী সরকার ও দুলাল ঢালীর বাড়িতে গ লক্ষ্মী পূজার প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও লক্ষ্মী পুজার আয়োজন করা। সন্ধ্যার পরে ঢাকের মাধ্যমে শুরু করেন পুজা অনুষ্ঠান। মুল পুজা শেষ শুরু হয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। প্রথমে স্থানীয় সাংস্কৃতিক মনা ছোট ছোট শিশু কিশোরের সামাজিক নৃত্য পরিবেশন হলেও রাত ১০টার পরে শুরু হয় ঢাকা থেকে ভাড়া করা মেয়েদের দিয়ে নর্তকী নাচ গান এবং অশালীন নৃত্য। আর অসামাজিক নৃত্য শুরু হলে ছেলে মেয়ে নিয়ে চলেন যান শিক্ষিত পরিবারের লোকজন। অশালীন নৃত্যে তালে উপস্থিত হাজারো যুবসমাজ টালমাটাল। এ সময় অশালীন নৃত্য পরিবেশন করে টাকা উত্তলন করতেও দেখা যায়।
নবগ্রামের হিন্দু ধর্মেরই শিক্ষিত সমাজের বাবু জ্যোতিশ মন্ডল,বাবু মিহির কুমার তালুকদার, ড.শিশির মল্লিক মেধাবী ছাত্র সুজন মন্ডল সহ অসংখ্য শিক্ষিত সমাজের লোকজন বহুবার এই নগ্ন জঘন্য নাচ বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েও ব্যার্থ হয়েছেন। কিন্তু তারা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই প্রতি বছর এই পূজার নামে নগ্ন নাচের আয়োজন করে আসছেন।
তারা বলেন সত্যি আমরা লজ্জিত, কালকিনি এবং ডাসারে আমাদের ধর্মেই লোকজন বেশী শিক্ষিত, আর আমাদের একটি গ্রামের পরিবেশ এরকম আজও রয়েছে তা ভাবতে পারি না।
পুজায় আসা পরিতোষ বাড়ৈ বলেন,বউ পোলাপান নিয়ে অনুষ্ঠান দেখতে আসছিলাম কিন্তু দেখার কোনো পরিবেশ নাই, মেয়েরা যে ভাবে নৃত্য করে তাই ছেলে মেয়ে আর বউ নিয়ে তারাতারি বাড়ি চলে জাই।
আগৈলঝাড়া থেকে আসা যুবক আলামিন বলেন, আমরা ১০ জন এখানে আসছি। রাতে আর বাড়ি জাবো না, এখানে ৮ জন মেয়ে আনছে, সারা রাত খোলা মেলা ডেন্স হবে দেখে সকালে বাড়ি জাবো।
ডাসার উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিভূতি ভূষন বাড়ৈ বলেন, পুলিন বিহারি সরকারের বাড়ি প্রতি বছরই লক্ষ্মী পূজায় অশালীন নৃত্য হয়। আমরা গেলে ওদের লুকিয়ে রাখে। চলে আবার শুরু করে। আসলে এই গুলো ঠিক না, আমরা পূজা করি মায়ের আরাধনা করার জন্য ও সকলের মঙ্গল কামনার্থে। তবে সামাজিক ভাবে পূজায় অনুষ্ঠানে আয়োজন করা যায়।
ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ আফরোজ বলেন, এই ধরনের নাচের কোনো সুযোগ নেই,আমি বিষয় টি দেখতেছি।

