টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে লাথি মারার ঘটনায় টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তার অপসারণের দাবিতে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, গত রবিবার বেলা ১১টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন মোতালেব হোসেন (৫০) নামের এক ব্যক্তি ছোট একটি লাঠি হাতে নিয়ে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে যান। তিনি এক ব্যক্তিকে পেটাবেন বলে বকাঝকা ও খোঁজ করছিলেন। এ সময় দায়িত্বরত দফাদার মোতালেবকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন। পরে দুপুর দুইটার দিকে তিনি একইভাবে পরিষদ চত্বরে গিয়ে বকাঝকা করতে থাকেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরকার নূরে আলম মুক্তা এগিয়ে গিয়ে মোতালেবকে পরিষদ চত্বর ত্যাগ করতে বলেন। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন মোতালেব হোসেন চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তাকে আঘাত করে বসেন। এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জনসম্মুখে চেয়ারম্যান ক্ষুব্ধ হয়ে মোতালেবকে লাথি মারেন। এই ঘটনার ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধনে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ মাস্টারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় রফিকুল ইসলাম রবি, ডিএম বজলুর রহমান, আব্দুল মান্নান, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, শিপু জামান বুলবুল প্রমুখ।
চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘লোকটি যে মানসিক ভারসাম্যহীন, তা আমি জানতাম না। জানলে আমি কোনোভাবেই এই আচরণ করতাম না। এখন আমাকে ছোট করতে কোনও একটি পক্ষ ভিডিওটি কেটে-ছেঁটে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল রনি বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে সরকার নূরে আলম মুক্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, চেয়ারম্যান নূরে আলম মুক্তা ২০২৪ সালের ২ মার্চ তার প্রতিবেশী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে পেটানোর ঘটনায় কারাভোগ করেন। এবং জুলাই অভ্যুত্থানে একটি মামলার আসামিও তিনি।