মোঃ আশরাফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ.
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় এক কেজি সোনাসহ এক আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
গত বুধবার (১৫ই জানুয়ারি) সকাল ৭ টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকবৃত আসলাম মির্জা ওরফে আসলাম (৪৫) নামের এই চোরাকারবারি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বীরকাকালী গ্রামের মামুদ আলীর পুত্র ও ধামশ্বর ইউনিয়ন যুবদলের (৩নং) সহ-সভাপতি।
জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী দাম্মাম হইতে ঢাকাগামী Biman Bangladesh Airlines এর flight no: BG 350,তারিখ ১৫/০১/২০২৫ ইং,Arrival Time: 3:25 a.m এর মাধ্যমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। উল্লেখিত যাত্রী ভোর সকাল পাঁচটার সময় বিমানবন্দরের ব্যাগেজ ঘোষণা ব্যতীত গ্রীন চ্যানেল অতিক্রম কালে বিমানবন্দর কাস্টমস এর শিফ্ট ডি কর্তৃক যাত্রীকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে যাত্রী অস্বীকার করে। পরে তার কাধ ব্যাগ স্ক্যানিং করা হলে বেশ কিছু স্বর্ণ সাদৃশ্য বস্তুর উপস্থিতির লক্ষ্য করা যায়। অতঃপর যাত্রীর ব্যাগ ইনভেনটরী কাউন্টারে এনে এয়ারপোর্টের দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে তাহার বহনকৃত কাঁধ ব্যাগ তল্লাশি করে ২৪ ও ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের বার, কয়েন ও জুয়েলারীসহ মোট ৬৭৪ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়,যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬৬ লক্ষ ১৭ হাজার ৮০০ টাকা ।পরে তাকে গ্রেফতার করে বিমানবন্দরের কাস্টমস হলের ইনভেনটরী এলাকা হতে যোগ্যতালিকামুলে চোরাই স্বর্ণ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত স্বর্ণ অধিক মূল্যবান হওয়ায় বিমানবন্দর কাস্টমস মূল্যবান গুদামে জমা রাখা হয় যাহার ডিএম – DCH-DE-20250176179. Date: 15/01/2025 ।
বিমানবন্দরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো: মামুন সরদার বাদী হয়ে গত ১৫ জানুয়ারি বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। বিমানবন্দর থানার মামলা নং ১৩, এবং জি.আর.নং ১৩/২৫।
কাস্টমস সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামি ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ২৫-বি এর ১ এর (বি) ধারার অপরাধ করিয়াছে মর্মে বাদী এজাহার দায়ের করিলে মামলা রুজু করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় উক্ত আসামী আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালানকারী দলের একজন সক্রিয় সদস্য। সে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে বিদেশ হইতে স্বর্ণ এনে চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিপুল পরিমাণের আর্থিকভাবে ক্ষতি করে আসিতেছে। উক্ত আসামিকে ঢাকা মহানগরের বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাত(০৭) দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত দুই (০২) দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেন।