মোঃ আশরাফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি.
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় শান্তা আক্তার (১৩) নামের এক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়। পরবর্তীতে কিশোরী মেয়েটি একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার পর মিলছে সেই সন্তানের বাবার পরিচয়।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম।
সন্ধান পাওয়া ধর্ষক আসামির (নবজাতকের বাবা) নাম নুর আলম (৩৬)। তিনি সিংগাইর উপজেলার খাসেরচর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী শান্তা আক্তার ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক বিকেল ৪ টার দিকে, উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের খাসেরচর বাজারের মজিবর এর বিল্ডিংয়ের ছাদের ওপর থেকে ছাগলের জন্য গাছের পাতা সংগ্রহ করতে গেলে সেখানে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়।
এঘটনার পরে শান্তার গর্ভে বাঁচ্চা আসলে ৬ মাস পরে শান্তার পরিবার বিষয়টি জানতে পারে। এঘটনায় শান্তার মা রেনুকা আক্তার বাদী হয়ে সিংগাইরের খাসেরচর গ্রামের মৃত আছের মোল্লার ছেলে মোহনকে আসামি করে থানায় মামলা করে। পরে আসামি মোহনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে শান্তা আক্তারের গর্ভে থাকা ছেলে সন্তান গত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের ১ তারিখে জন্মগ্রহণ করে। এই নবজাতকের বাবা নির্ধারণের লক্ষ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিংগাইর থানার উপ-পরিদর্শক শেখ তারিকুল ইসলাম আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে আসামিসহ একই গ্রামের সিরাজুল ও নুর আলম নামের আরও দুই ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা করেন।
গত মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ডিএনএ রিপোর্ট আসলে পর্যালোচনা করে দেখতে পান আসামি নুর আলম (৩৬)ই হচ্ছে নবজাতকের বাবা। পরে গতকাল সকাল ৮টার দিকে আসামি নুর আলমকে খাসেরচর বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
সিংগাইর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত নুর আলমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সে শান্তা আক্তারকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করতে ইচ্ছা পোষণ করেছেন।