মোঃ আশরাফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ.
গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রাখতে মানিকগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে পিঠা উৎসব । শীতকালে গ্রামে শীতের পিঠা খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। শুধু গ্রাম বাংলায়ই নয়, ইদানীং শহর এলাকায়ও পাওয়া যায় শীতের পিঠার সুবাস। তারই ধারাবাহিকতায় গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রাখতে সদর উপজেলার ‘জাগীর-কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালযয়ের’ মাঠে আয়োজন করা হয়েছিলো পিঠা উৎসবের।
বুধবার (২২শে জানুয়ারী)সকালে বিদ্যালয় মাঠে পৃথক পৃথক স্টলে নানা রকম পিঠাপুলির হরেক রকমের পসরা সাজিয়ে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের পিঠা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
‘এসো দেশ বদলাই,পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত পিঠা উৎসবে শিক্ষক,শিক্ষার্থী-অভিবাবক ও দর্শণার্থীরা আসেন দলে দলে। শিক্ষার্থী ও দর্শণার্থীরা ঘুরে ঘুরে দেখছেন স্টল। জানছেন নতুন নতুন পিঠা সম্পর্কে।প্রতিটা পিঠার ওপরে লেখা আছে পরিচিত নাম ও মূল্য। এসব পিঠার নামও বেশ বাহারি। এ সময় পুরো বিদ্যালয় মাঠ রূপ নিয়েছিলো অন্যরকম এক মিলন মেলায়। পিঠা উৎসবে ৬টি পৃথক স্টলে ছিল বাহারি রকম পিঠাপুলি ,ভাপাপুলি, দুধপুলি, আওলা কেশরি, খিরুলি, পাটিসাপটা, জামাই সোহাগী, গোলাপ, চিতই, দুধ চিতই, কানমুচরি, পায়েস, ক্ষির, পুডিং, তেল পিঠা, ফুল পিঠা, রস গোলাপ ও কেকসহ শতাধিক পিঠাপুলি।নানা রকম জানা-অজানা পিঠা দেখে এবং এর স্বাদ নিতে পেরে খুঁশি তারা।বিলুপ্ত প্রায় ঐতিহ্যের শীতের এই পিঠার এমন ব্যতিক্রমী আয়োজনে খুশি অভিভাবক ও স্থানীয়রা। তাদের চাওয়া প্রতি বছরই যেন এমন আয়োজন করা হয়।
জাগীর-কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিল্পী আক্তার জানান, পাঠদানের পাশাপাশি গ্রামীন সংস্কৃতি চর্চা করাতে এবং শিক্ষার্থীদের মেধা ও প্রতিভা বিকাশের সমৃদ্ধি করতেই প্রথম বারের মতো এই আয়োজন করা হয়েছে । আগামীতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে ।