আব্দুল খালেক
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি,
রৌমারীতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জামালপুর ধানুয়া কামালপুর কদমতলী রৌমারী দাঁতভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার রাস্তা ৩৩২ কোটি টাকা ব্যায়ে ৪ টি প্যাকেজে সড়ক উন্নয়নের নির্মান কাজ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে ২ ল্যান সড়ক নির্মানের উন্নয়ন কাজ। রাস্তটি মহাসড়কের ন্যায় প্রসস্ত বৃদ্ধি করণ, গাইড ওয়াল, ব্রীজ কালভার্ট, স্লুইজগেট নির্মাণ ও কার্পেটিং এর কাজ রয়েছে। পাশাপাশি সড়কের শোভাবর্ধনের কাজও করা হবে। ৪ বছর অতিবাহিত হলেও নির্মান কাজ শেষ হচ্ছে না। কাজ শেষ হওয়ার আগেই বৃষ্টিতে কার্পেটিং ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে মানুষ জানতে চায়, রৌমারী টু ঢাকা যাতায়াতে সড়কের কবে দুর হবে এ ভোগান্তির শেষ।
এ সড়ক নির্মান উন্নয়ন কাজে রৌমারী ও রাজিবপুর অংশে কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর শেষ মাথা হতে দাঁতভাঙ্গা শালুর মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩২ কিলোমিটার সড়ক নির্মানে ১শত ৫০ কোটি টাকা টেন্ডার বরাদ্দ ধরা হয়েছে। রৌমারী ও রাজিবপুর অংশে ঠিকাদার মীর হাবিবুল আলম ও রানা বির্ল্ডাস কাজ পান।
রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষের ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতের একমাত্র প্রধান সড়ক সওজের ডিসি নামের সড়কটি। যে সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত অর্ধশতাধিক দূরপাল্লার পরিবহন ও ছোট খাটো অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে থাকে। সড়কটি বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণবঙ্গের ময়মনসিংহ, ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেট, চট্রগ্রামসহ ৪/৫টি বিভাগের প্রায় ১০টি জেলার সাথে যাতায়াতে যোগাযোগ এবং ভারতীয় আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের সাথে ব্যবসা বানিজ্যে উন্নতি হবে।
এলাকার ব্যবসায়ী ও বাস, ট্রাক, অটোভ্যান, অটোবাইক চালকগণ দ্রুত এ সড়কের নির্মান কাজ শেষ করার আশা ব্যক্ত করেছেন। তবে সড়ক উন্নয়নের এসব কাজ শেষ হলে সড়ক দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে জনদুর্ভোগ অনেকটা কমে আসবে বলে মনে করেছেন সাধারণ মানুষ।
সড়কে চলাচলরত ভারতীয় সীমান্ত শুল্ক স্টেশন থেকে পাথর বোঝাই মালবাহী ট্রাক ড্রাইভার আলতাফ হোসেন বলেন, রাস্তার কাজ দীর্ঘদিন ধরে শুরু হয়েছে। কাজ শেষ না হওয়ায় মালবাহী বোঝাই গাড়ি নিয়ে চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বর্ষায় বিভিন্ন স্থানে রেইনকার্ড ভেঙ্গে রাস্তার প্রসস্ত কমে এসেছে। ফলে মাঝে মাঝে দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে। রাস্তা প্রসস্থ্য করনের উন্নয়ন কাজ দ্রুত শেষ করার আশা করছি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ মীর ইব্রাহীম বলেন, গাইড ওয়াল, ২ ল্যানের কার্পেটিংসহ বিভিন্ন কাজ রয়েছে। মোটামোটি ভাবে গাইড ওয়ালসহ ২ ল্যানের কার্পেটিং এর কাজ করা হয়েছে। বিভিন্ন কারনে কাজের গতি বাড়ানো যাচ্ছিল না। বর্তমানে বর্ষাকাল। যথা সময়ে বাকী সামান্য কাজ শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কাজে কোন অনিয়মের সুযোগ নেই।
উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সওজ, সড়ক উপ-বিভাগ-১ কুড়িগ্রাম মোতাহার আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কাজের অগ্রগতি চলমান রয়েছে। জুন মাসেই কাজ শেষ করার কথা ছিল। বর্ষার কারনে সমস্যা হচ্ছে। তবে এ বছরেই রাস্তার নির্মান কাজ শেষ করা হবে আসা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে পাওয়া যায়নি।