জুলহাস উদ্দীন,তেঁতুলিয়া পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
শোক দিবসে যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে বঙ্গবন্ধুর সাথে তুলোনা করে তার জন্য দোয়া কামনা করার প্রতিবাদে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে তেঁতুলিয়া কলেজ ছাত্রলীগ ও রাজনৈতিক অঙ্গন।এই নিয়ে তেঁতুলিয়া বিঙ্গোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ চলতে থাকে।এই প্রতিবাদে তেঁতুলিয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লিয়াকত আলী।সাঈদীকে নিয়ে আলোচনা করায় উপজেলা প্রশাসন এক সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে তেঁতুলিয়া সরকারী কলেজে প্রেরণ করে ৫দিনের মধ্যে এর সুষ্ঠ তদন্ত দেওয়ার নির্দেশ দেন। তদন্তের দায়িত্ব উপজেলা মাধ্যামিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা একাডেমীর সুপারভাইজার কে দেওয়া হয়। ১৭ সেপ্টেম্বরে এর তদন্ত করেন,এই সুষ্ঠ তদন্ত ৫দিনে না দিয়ে ০৯ দিন পরে ২৫ সেপ্টেম্বর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেন যা একতরফাভাবে লিয়াকত আলী প্রধানের পক্ষে যায়।
ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাধ্যামিক শিক্ষা অফিস ঘেরাও করে ৩০মিনিট অবরুদ্ধ করে রাখেন।পরে উপজেলা পরিষোদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসে বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দিয়ে তাদের কে সান্ত করেন।
কলেজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিউল ইসলাম জানান,১৫আগষ্ট তেঁতুলিয়া সরকারি কলেজে প্রোগ্রামে,কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রেন্সিপাল লিয়াকত আলী প্রধান বঙ্গবন্ধু সাথে দেলোয়ার হোসেন সাইদীর আত্তার মাগফিরাত করে,এবিষয় তদন্ত করতে সরজমিনে জান মাধ্যামিক শিক্ষা অফিসার সেখানে সকল শিক্ষক শিক্ষকা ছাত্র সকলের যে মন্তব্য দিয়েছে সেই মন্তব্য না দিয়ে তিনি অন্য মিথ্যা বানোয়াট মনগড় মন্তব্য পেশ করেছেন যা তারা বলেনি,যেখানে পাঁচ দিনে রিপোর্ট দেওয়ার কথা সেখানে নয় দিনে রিপোর্ট দিয়েছে যা সকলের বিপোরীত।সেই মিথ্যা রিপোর্টের প্রতিবাদে তাকে ৩০মিনিট অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসে আমাদের সমস্ত ঘটনা শুনে আমরা তার বিচারের দাবী জানায় তিনি আমাদের আশ্বাস দেন।তার উপযুক্ত বিচার করা হবে।