রুপম চাকমা বাঘাইছড়ি উপজেলা
মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে টানা তিন দিনের ছুটিতে। হাতের মুঠোয় পুরে মেঘের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের লক্ষে পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠেছে সাজেকের এ কোন-সে কোন।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) খবর নিয়ে জানা যায়, সাজেকের প্রায় দেড় শতাধিক রিসোর্ট ও কটেজের সবকটি বুকড হয়ে গেছে। সেপ্টেম্বর মাসের শেষদিকে ২৮ তারিখ বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন নবী (সা.) এর একদিন ও শক্র এবং শনিবার সাপ্তাহিক দু’দিন ছুটিসহ মোট তিন দিনের ছুটি পেয়ে ভ্রমণ পিপাসুদের এ ঢল নামে মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালিতে। পর্যটকের এ ঢল সামলাতে যথারীতি হিমশিম খাচ্ছেন খাবার হোটেল ও রিসোর্ট মালিকরা।
সাজেক কুড়েঘর রিসোর্ট এর ম্যানেজার জোথেন ত্রিপুরা জানান, সাজেকে বর্তমানে সব রিসোর্টেই শতভাগ বুকিং রয়েছে। তিনদিনের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে।
সাজেকের রিসোর্ট ব্যবসায়ী মো. মামুন জানান, সাজেকে বর্তমানে দেড় শতাধিক রিসোর্ট ও কটেজ আছে। প্রতিটি কটেজে কমপক্ষে ৪০ জন করে টুরিস্ট রাত্রিযাপন করতে পারেন। এতে করে সাজেকে প্রায় ৬ হাজার টুরিস্টের রাত্রিযাপনের সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে এর চেয়ে বেশি পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছেন।
ইকো ভ্যালি ও অবকাশ রিসোর্টের ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন জানান, আমাদের দুটি রিসোর্ট আছে। বৃহস্পতিবার থেকে সবকটি রুম বুকড। আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত পর্যটকের এ চাপ থাকবে বলে জানান তিনি।
চাঁদের বাড়ি রিসোর্টের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইয়াছিন জানান, আমার রিসোর্টের সবকটি রুম পাঁচদিন আগে বুকড হয়ে গেছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, রিসোর্ট স্টাফদের থাকার জায়গা হচ্ছে না। সপ্তাহজুড়ে পর্যটকের চাপ থাকবে। সাম্প্রতিক মন্দা কাটিয়ে ভালো একটা ব্যবসা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সাজেকের স্থানীয় সাংবাদিক মো. জুয়েল বলেন, সাজেকে বেড়াতে এসে অনেক পর্যটক থাকার রুম না পেয়ে সকালে এসে বিকেলে ফিরে যাচ্ছেন। তিনি জানান,প্রতিদিন প্রায় আড়াইশ থেকে তিনশোর মতো পরিবহন সাজেকে প্রবেশ করে। প্রায় ১৫০ এর মতো মোটরসাইকেলও থাকে। পর্যটকদের এ বাড়তি চাপের কারণে কিছু পর্যটক রুম পায়না। রুম না পাওয়ায় কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি ফেরত চলে যায়। যারা রুম পায়না তাদের কেউ কেউ ক্লাব, মন্দির এবং ত্রিপুরা পল্লীগুলোর বাসাবাড়িতে থাকেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার বলেন, টানা তিনদিনের সরকারি ছুটির ফলে সাজেকে পর্যটকের ভিড় জমেছে, বুকিং হয়ে গেছে শতভাগ রিসোর্ট ও কটেজ। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যে সকল পর্যটক সাজেকে বেড়াতে আসেন তারা যদি আগে থেকে সাজেকের রিসোর্ট বা কটেজে অগ্রিম বুকিং দিয়ে আসেন তাহলে কাউকে কষ্ট পেতে হবে না।