রাসেল কবির// এবার কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে। মাঠে সোনালী ধানের বাম্পার ফলনে আশাবাদী করছে কৃষকেরা। বরিশালের প্রত্যন্ত মেহেন্দিগঞ্জ সহ কাজিরহাটের পার্শ্ববর্তী এলাকার মাঠে সোনালী ফসল ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষকেরা। অগ্রহায়ণ শেষ প্রান্তে পৌষের শুরুতেই ধান কাটা যাবে বলে কৃষকরা জানিয়েছে। লতা ইউনিয়নের আসলী সন্তোষপুর গ্রামের কৃষক কাজী ইউসুফ জানায় প্রতি বছরের ন্যায় এবার ধানে বাম্পার ফলনের আশাবাদী। কিন্তু ন্যায্য দামে ধান বিক্রি করতে পারছি না বাম্পার ফলন হলেও ব্যয় অনেক। অপর কৃষক মজিবর রাড়ি জানায় ধান ভালো হয়েছে কিন্তু খরচ অনেক। বিদ্যানন্দনপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রতনপুর গ্রামের কৃষক জব্বার হাওলাদার বলে অধিকাংশ কৃষকরা জমি চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছে। আন্দারমানিক ইউনিয়নের বণিকের হাট এলাকার মোশারফ হোসেন জানায় বাম্পার ফলন দেখে লাভ কি সরকার ন্যায্য দামে দান ক্রয় করতে আগ্রহী হয় না। জমি চাষাবাদে অনেক খরচ ১ শতাংশ জমি চাষাবাদ সহ ধান রোপন পর্যন্ত এবং আগাছা বাছাই ঔষধ প্রয়োগ করা শেষ পর্যায়ে ধান কেটে আঙ্গিনায় পর্যন্ত পৌঁছাতে যে খরচ পড়ে ওই দামে ধান বিক্রয় করতে পারলে আগামীতে ধান চাষাবাদ আগ্রহী হতাম। বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা ধান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সন্তোষপুর গ্রামের কৃষকরা জানায় বর্তমানে ধান চাষে লাভজনক তবু ও ধান চাষ করতে বাধ্য। আমাদের জমি এভাবে পড়ে থাকবে ফসল হবে না। আমার বাপ দাদা চাষাবাদ করে আসছে আমরাও করি। এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাম্পার ফলন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন। প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা আছে তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের ফসল পরিচর্যা ও বিভিন্ন রোগ বালাই দমনের পরামর্শ দিয়েছে। ন্যায্য মূল্য ধান বিক্রি হবে সরকার ক্রয় করবে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন ক্রয় বিক্রয় হিসাব নিকাশ আমাদের না সরকার।

