মোঃ মশিউর রহমান সুমন। মেহেন্দিগঞ্জ,বরিশাল, প্রতিনিধি।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের অমূল্য সম্পদ ও অগণিত গুণীজন তৈরির প্রতিষ্ঠান ‘দড়িচর খাজুরিয়া নেছারিয়া ফাযিল মাদ্রাসা’। এই ইউনিয়নের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গৌরবের প্রতীক এই প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৫৩ সালে দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত দারোগা বাড়ির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর নদী ভাঙনের শিকার হলে মাদ্রাসাটি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গাজীরহাট সংলগ্ন রাড়ি বাড়ির সামনে নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি গাজীরহাট বাজার নদী ভাঙনে বিলীন হলে মাদ্রাসাটি আবারও নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ছে।
তবে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী এতদিন জেনে এসেছি মাদ্রাসাটি মাঝের চরে স্থানান্তরিত করা হবে। কিন্তু সম্প্রতি আমরা শুনতে পাচ্ছি মাদ্রাসাটির স্থায়ী শাখা জয়নগর ইউনিয়নের তুলাতলা সংলগ্ন এলাকায় নেওয়া হচ্ছে এবং দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের মাঝের চরে অস্থায়ী শাখা স্থাপন করে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে মাদ্রাসার বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এবং এলাকাবাসীর দাবি এই ইউনিয়নের ঐতিহ্য ও গৌরবের প্রতিষ্ঠানটিকে অন্য ইউনিয়নে স্থানান্তরিত হতে দিতে চায় না। এছাড়াও গত কয়েক বছর ধরে জয়নগর ইউনিয়নটি ব্যাপক নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ওই এলাকায় মাদ্রাসা নিলেও সেখানে দীর্ঘ মেয়াদে থাকবে না। সুতরাং, ওই এলাকায় মাদ্রাসা স্থানান্তর কোনোভাবেই ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে না বলে জানান তারা।
দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের মাঝের চর ও বউডোবায় ৪-৫ হাজার মানুষের বসবাস। সেখানে কোনো হাইস্কুল বা মাদ্রাসা নেই। মাঝের চরের শিক্ষার্থীরা পাতারহাটে পড়াশোনা করতে যায়, যা অনেক কষ্টকর ও ব্যয়বহুল। এছাড়াও নদী ভাঙনে পশ্চিম পাড়ের লোকজন পূর্ব পাড় তথা মাঝের চর ও বউডোবায় স্থানান্তরিত হচ্ছে।
মাঝের চরের সাইফুল হাজীর দানকৃত জমিতে একটি শাখা নির্মাণ এবং পশ্চিম পাড়ের শিক্ষার্থীদের জন্য হবি কাজীর বাড়ি সংলগ্ন আহমদ হাওলাদারের দানকৃত জমিতে আরেকটি শাখা স্থাপনের জোর দাবি জানান তারা। পাশাপাশি এই ইউনিয়নের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কোনোভাবেই দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের বাইরে কোনো এলাকায় নিতে দেওয়া হবে না বলেও জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।