মোঃ মশিউর রহমান সুমন। মেহেন্দিগঞ্জ,বরিশাল, প্রতিনিধি।
সারা দেশের ন্যায় বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জর বাজারে গত একসপ্তাহের ব্যবধানে বয়লার মুরগির প্রতি ডজন বাদামি ডিমের দাম ১০ টাকা বেড়েছে। ডিমের পাশাপাশি দেশি পেয়াজ, দেশি রসুন, আলু, আমদানি করা আদা ও কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে।
দেশ চ্যানেলের অনুসন্ধানে জানা যায়, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশে পেঁয়াজ ও রসুনের আমদানি কমেছে। এ ছাড়াও অন্যান্য পন্যের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। মেহেন্দিগঞ্জের পাতারহাট বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডিমের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও আলুর দামও বেড়েছে। বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজই বেশি বিক্রি হয়। সরকারি ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারধরের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৭০-৭৫ টাকা। গতকাল বাজারভেদে ৭৫-৮০ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। পাতারহাট বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আলামিন জানান, গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ ৭০ টাকা ছিলো তা এখন ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, সরবরাহ ঠিক না হলে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে। গত রোজার ঈদের আগে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিলো ৪০- ৪৫ টাকা কেজি।সেই হিসেবে পৌনে ২ মাস সময়ে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৬৭ শতাংশ।
বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি ও আমদানি করা উভয় প্রকার রসুনের দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে।গতকাল বাজারভেদে দেশি রসুন ২০০-২১০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ২৪০- ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
আরেক মসলা পন্য আদার দামেও উর্ধ্বমূখী প্রবনতা দেখা গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা আদার দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। তাতে খুচরা দোকানে প্রতি কেজি আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ২৫০- ২৭০ টাকায়।আর দেশি আদার দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে।