রাসেল কবির// বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা ১৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে অন্তর্ভুক্ত।মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চারপাশে ঘেরা নদ-নদী । আড়িয়াল খা , কালাবদর, তেতুলিয়া , পোলতা তলী ও লতার নদী স্রোতে কল গ্রাস করে ফসলি জমি, বসত ভিটে, হাটবাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সর্বত্রই নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। প্রতিবছর ভাঙ্গন রক্ষা করতে বিভিন্ন পদক্ষে ব্যবস্থা নিলেও নদী ভাঙ্গন ঠেকানো যাচ্ছেনা বলেই ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসছে মেহেন্দিগঞ্জের মানচিত্র। সর্বত্র মেহেন্দিগঞ্জ বাসির মতামত যে বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে ১৬ ইং ডিসেম্বর। ৯ মাস যুদ্ধ করে বাংলাদেশ কে স্বাধীন দেশ বলে ঘোষণা করলেও ৯ মাসের ও বেশি সময় অতিবাহিত করে যুদ্ধ চলছে মেহেন্দিগঞ্জের মানচিত্রে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার ঘোষণা হয়েছে মেহেন্দিগঞ্জে। কয়েক যুগ ধরে মেহেন্দিগঞ্জের মানচিত্র ছোট হয়ে যাচ্ছে নদী ভাঙ্গনের ফলে। জানাগেছে উপজেলার ১২ নং দড়িচর খাজুরিয়া ইউমিয়ন ও ১৫ নং আদর্শ নগর, ভাষানচর, বিদ্যানন্দনপুর, লতা, আন্দারমানিক ইউনিয়নের হাজারো হাজারো পরিবার নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব। এছাড়া মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া, কালিগঞ্জ, পাতারহাট স্টিমার ঘাট, লঞ্চ ঘাট এলাকা নদী ভাঙ্গনে অব্যাহত রয়েছে। নদী ভাঙ্গনের ফলে হাজারো হাজারো হেক্টর জমি নদী গর্বে রক্ষা পাইনি কোন কিছুই। ভাষানচর ইউনিয়নের খলিশা পাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল খালেক, মহাসিন জানায় ৩ বার আমাদের বসতভিটা নদী গর্ভে চলে গেছে ৪ বার ঘর উঠেয়ে থাকতে হয়। আমরা বাগর ঝা বাসিন্দা ছিলাম। অনেকে বিভিন্ন স্থানে চলে গেছে। দুই চার খাজুরিয়া ইউনিয়নের নদীর পাড়ের বানের চর এলাকার বাসিন্দা মমতাজ বেগম, রাশিদা, আয়েশা দুঃখ প্রকাশ করে বলে নদীর এপার ভাঙ্গে ওপার গড়ে এইতো নদীর খেলা আমাদের করছে সর্বহারা। ১৫নং আদর্শ নগর ইউনিয়নের রহমান খান হাট,ও মকবুল খান বাজার এবং সাইক্লোন শেন্টার হতদরিদ্র জাকির হাওলাদার, রফিক বলে আমাদের যা হারিয়ে যাবার হারিয়ে গেছে এখন শুধু আমাদের পরিবারগন আছে নদীতে নদী গর্ভ এক সময় আমরা হয়ে যাব। স্থানীয় মহলের দাবি এই শীত মৌসুমে নদীর স্রোত কম থাকার ফলে এই সময় বিভিন্ন পদক্ষে ব্যবস্থার মাধ্যমে মেহেন্দিগঞ্জের নদী ভাঙ্গন রক্ষা করতে ও মানচিত্র স্থির রাখতে হলে আরো প্রযুক্তির ব্যবহার কর জরুরী বলে মনে করেন। এ বিষয়ে বিদ্যানন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম মীর, ১৫ নং আদর্শ নগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন হাওলাদার নদী ভাঙ্গন রক্ষা করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সর্বত্র জানানো হয়। সরকার সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। আন্দার মানিক ইউনিয়নের একাধিক ইউপি সদস্য বলেন ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি মেহেন্দিগঞ্জের মানচিত্র ছোট হতে যাচ্ছে। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজুল ইসলাম নদী ভাঙ্গন বিষয় আলাপ করলে তিনি বলেন মেহেন্দিগঞ্জ নদীমাতৃক এলাকা। নদীর মাঝখানে দ্বীপ এই দীপেই বসবাস করেন লক্ষ লক্ষ পরিবার। বিশেষ করে নদীর পাড়ের পরিবার পরিবারদের নিয়ে আমি একটু অনুতপ্ত। নদীতে বসতভিটা চলে গেলে তাদের কিছুই থাকে না আমি সর্বত্র চেষ্টা করি এই মেহেন্দিগঞ্জে অবহেলিত অঞ্চল। কি ভাবে নদী ভাঙ্গন রক্ষা করা যায় এ ধরনের পদক্ষেপ ব্যবস্থার বিষয় আমার কর্তৃপক্ষ দপ্তরে অনেক ফাইল জমা আছে । ওই দপ্তর থেকে কাগজপত্র আসলেই দ্রুত নদী ভাঙ্গন রক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানায়।

