মোঃ মশিউর রহমান সুমন। মেহেন্দিগঞ্জ, বরিশাল, প্রতিনিধি।
বেশ কয়েক মাস পর আবারও অস্তির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। কোরবানির ঈদের আগে এক দফায় বেড়ে কিছুদিন স্থির থাকার পর এবার কেজিতে আরও ১০ টাকা বেড়েছে পন্যটির দাম। মেহেন্দিগঞ্জের বাজারগুলোতে এখন ১০০-১১০টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি পেঁয়াজ।
দীর্ঘদিন পর পেঁয়াজের বাজারে সৃষ্ট এ অস্হিরতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতা সাধারন। আর ব্যবসায়ীরা অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন সরবরাহ সংকট। মেহেন্দিগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটাই জানা যায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। তারা জানান, কোরবানির ঈদের সময় বাজারে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ।
এখন তা ১০০-১১০টাকায় পৌঁছেছে। এই হিসেবে মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত তিন দিনেই বেড়েছে ১০ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে চার-পাঁচ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিলো। এর ফলে বাজারে সরবরাহ কম ছিলো।
সেই সময় মানুষ বেশি পরিমানে দেশি পেঁয়াজ কিনেছেন। পরে আবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয়, কিন্তু এর ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এতেই দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।ফলে বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম দেশি পেঁয়াজের চেয়েও বেশি পড়ছে।
এছাড়াও বর্তমানে ভারত থেকে কম পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে বলেও জানান তারা। তবে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন অন্য কথা। তাদের দাবি, আলাদা করে কারো কাছে পেঁয়াজ মজুূদ নেই। গৃহস্থদের কাছে যা আছে, সেগুলোই ব্যবসায়ীদের কাছে আসছে। গৃহস্থরা এবার আস্তে আস্তে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়ছে।
সব একবারে ছাড়েনি। তাই দাম উঠানামা করছে।এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ৩৫ লাখ টন। হিসাব অনুযায়ী চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন বেশি আছে। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।