রাসেল কবির//সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। বাংলাদেশের চতুর্থ স্তম। সাংবাদিকতার মূল উদ্দেশ্য কি অনেকেই জানেনা। শুধু প্রেস কার্ড গলায় ঝুলিয়ে ঘোরাফেরার নামেই কি সাংবাদিকতা। অনেক সংবাদ কর্মীদের নেই সাংবাদিকতার বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ। দেখা গেছে সাংবাদিকতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে লেখার মান কমে যাচ্ছে। এরূপ শতাধিকের উপরে সংবাদ কর্মী সৃষ্টি হয়েছে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা ও কাজিরহাট থানা এলাকায়। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় প্রায় শতাধিক সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে ঘুরে বেড়ায়। অপরদিকে কাজিরহাট থানা এলাকায় ৩২ জন সংবাদ কর্মী পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা সহ কাজিরহাট এলাকার সংবাদ কর্মীদের দৌরাত্ব কতটুকু অনেকের জানা নেই। ১৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা গঠিত এরমধ্যে ১৩২ জন সংবাদ কর্মী মাঠ পর্যায়ে আছে বলে জানা গেছে। ১৩২ জন সংবাদ কর্মীর মধ্যে ২৫/৩০ জন নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করে পত্রিকা অফিসে অথবা অনলাইন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করেন। অন্যান্য সংবাদ কর্মীরা হলো সাংবাদিক সুনাম খুন্ন করা গলায় কার্ড ঝুলানো সাংবাদিক। আরো দেখা গেছে উপজেলা ও কাজিরহাট থানা ভিত্তিক একাধিক সংবাদকর্মীদের অফিস।বেশ কিছু সংবাদ কর্মীদের বিষয় লক্ষ্য করা গেছে। টিকটক, ফেইসবুক, ইউটিউব, দলীয় রাজনৈতিক, কপি রাইট, প্রশাসনিক দালাল সহ বিভিন্ন চক্রের সাথে সম্পৃক্ত বজায় রেখে সংবাদ কর্মী পেশা হিসাবে সাইনবোর্ড আকারে চলাফেরা করছে।এ সমস্ত সংবাদ কর্মীর জন্যই সাংবাদিকদের আস্থা ও মান মর্যাদা নিয়ে আলোচনা চলছে।
একাধিক সংবাদ কর্মীদের বিষয় জানতে চাওয়া হয় মেহেন্দিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মো: রাজ্জাক মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, যে হার সাংবাদিক বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের কারণে আমরা ফুটেজ ও তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যাঘাত ঘটে। তাদের কথা কি বলব বিভিন্ন জায়গায় নামে বেনামে পত্রিকা অফিস খুলে বসছে ১০০০ টাকা অফিসে পেমেন্ট করলে প্রেস কার্ড বানিয়ে দেয়। পত্রিকার সম্পাদক কোন প্রকারে তার বিষয়ে অনুসন্ধান করেনা।
মেহেন্দিগঞ্জ প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি ও জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ তিনি বলেন, এখন যে সাংবাদিকের কার্ড নিয়ে ঘোরাফেরা করছে বাস্তবে কি যোগ্যতা আছে। আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন হয়।
সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বলেন, আমি সাংবাদিকতার পেশায় ৩ যুগের বেশি ওই সময় বিভিন্ন দপ্তরে সম্মান পেতাম নব্য সাংবাদিকতার কারণে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলেও বিভিন্ন কথা শুনতে হয়। মেহেন্দিগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ইউসুফ আলী সৈকতের সাথে কথা হলে তিনি জানায়, যে হারে সাংবাদিকতা বেড়েছে তারা অপসংবাদিক তাদের কোন নিউজ নাই ওরা সাংবাদিক কিসের। হিজলা উপজেলা আনন্দ টিভি সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন কার্ড নিয়ে এদিক সেদিক গেলেই তাদেরকে সাংবাদিক বলে না। মুলাদী উপজেলা সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ মোশাররফ হোসেন দৈনিক আজকের বার্তা ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রতিনিধি তিনি বলেন, এখন তো ওদের কেউ সাংবাদিক বলে না ওরা কেউ সাংবাদিক করতে আসে নাই। এই পেশায় আসছে প্রকৃত সাংবাদিকদের সুনাম নষ্ট করার জন্য।

