মোঃরিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ায় অবস্থিত জিয়াহলে-শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল পুন:স্থাপনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দরা।মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তারা জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করে জিয়া হলের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।সাক্ষাৎ কালে উপস্থিত ছিলেন-মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান,মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু,জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দগন।জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ শেষে এডভোকেট ইউসুফ খান টিপু বলেন- গত ৩রা এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমানের নির্দেশে আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে।গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম যে-এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলে আমরা কঠোর কর্মসূচীতে যাবো। ৭২ ঘন্টা গতকাল শেষ হয়েছে।এখন পবিত্রমাহে রমজান মাস,ঈদের আর মাএ একদিন বাকি।নারায়ণগঞ্জবাসীর কোন ভোগান্তি যাতে না হয় তাই আমরা কঠোর কর্মসূচীতে এখনো যাইনি।আমরা আজ ডিসি সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করেছি।যথাযথ স্থানে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল পুন:স্থাপন,জিয়া হল ভেঙে ফেলার কোন সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা,জিয়া হলের যেন নাম পরিবর্তন না করা হয় এবং সন্ত্রাসী গডফাদার অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে,সে হস্তক্ষেপ যাতে না করে সে ব্যাপারে আলাপ আলোচনা করেছি।ঈদের পর অবশ্যই মহানগর ও জাতীয় দলের নেতাদের সাথে কথা বলে রাজনৈতিক কর্মসূচীতে যাবো।আমরা ডিসি সাহেবের মাধ্যমে সরকারের কাছে আবদেন করেছি,যাতে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল যথাস্থানে পুন:স্থাপন করা হয় ও জিয়া হলের নাম পরিবর্তন না করা হয়।আমরা এটাও জানিয়েছি যে-আমাদের দাবি না মানা হয় তাহলে আমরা রাজপথে নামবো এবং কঠোর কর্মসূচী নিতে বাধ্য হবো।এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন,গত ৩ রা এপ্রিল যেভাবে আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙেফেলা হয়েছে তার জন্য আমরা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে দোষারোপ করি।নারায়ণগঞ্জবাসীও মনে করে এ কাজটি শামীম ওসমান করেছেন। আমরা জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করেছি।জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে আমরা জানলাম-এই ভবনটির নাম পরিবর্তন করার কোন সরাকারী সিদ্ধান্ত হয়নি।সরকার নাম পরিবর্তনের জন্য কারো উপর কোন প্রকার দায়িত্ব অর্পণ করেন নাই।তবে ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে বলে জেলা প্রশাসন ভবনটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে ৬ দফা মঞ্চ করার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি,এ নিয়ে মিথ্যা কথা প্রচার করা হচ্ছে। বালুর মাঠের জায়গায় জিয়া হল না।উনি একটি সেনসিটিভ বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এইখানে অন্য একটি ভবন করার পাঁয়তারা করছেন ও ব্যক্তিগত স্বার্থেই উনি চেষ্টা করছেন।জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্য কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নাই।ভবন ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়েছে,কিন্তু নতুন ভবন কি হবে সে সিদ্ধান্ত হয় নাই।শামীম ওসমান যে বক্তব্য দিচ্ছেন- এটা একটা প্রপাগান্ডা।পানি ঘোলা করে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছেন।এর জন্য আমরা প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।আমরা জেলা প্রশাসককে অবিলম্বে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল পুন:স্থাপনের জন্য দাবি জানিয়েছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন-ডিসি সাহেব বলেছেন-জিয়া হল ভেঙে সেখানে নতুন করে কোন ভবন করা হবে না। এ জায়গাটা ওইভাবেই থাকবে বলে আমাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।আমাদের বিশ্বাস ডিসি সাহেব আমাদের কথা রাখবেন। অন্যরা যারা গুজব ছড়াচ্ছে তা গুজবেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস।