বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদদের রক্ত শুকানোর আগেই নয়া পল্টনে তারেক জিয়াকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি রেখে সমাবেশ করার কারণে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে বিএনপি। এদিকে আন্দোলনে বিজয়ী ছাত্রদের কথা
ছাত্র জনতার রক্ত লাসের স্বাধীন মাটিতে নতুন কোন ষড়যন্ত্র স্বৈরাচারদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। এ বিজয় ছাত্র জনতার ফলে ছাত্র জনতাই ঠিক করবে দেশ কে বা কারা চালাবে। কারণ টানা একমাস পাঁচ দিন দেশের সকল ছাত্ররা যখন রাজপথে থেকে তাদের নৈতিক দাবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন করতে গিয়ে মুগ্ধ আবু সাঈদ এবং যে সকল ছাত্র জনতা ও পুলিশ সহ অসংখ্য তাজা প্রাণ স্বৈরাচার খুনি হাসিনার ইশারায় বীভৎস ভাবে মৃত্যুবরণ করেছে সে সকল আত্মত্যাগ শহীদদের রক্তের দাগ রাজপথ থেকে শুকিয়ে যেতে না যেতে বিএনপি ক্ষমতার মসনদের গভীর স্বপ্নে বিভোর হয়ে ঘটে যাওয়া আন্দোলনের সকল শহীদদের কথা স্মরণে না রেখে এমনকি নির্মমভাবে ঝরে যাওয়া আত্মাদের প্রতি শোক-শ্রদ্ধা না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে নয়া পল্টনে লন্ডনে থাকা তারেক জিয়াকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি রেখে বিশাল জনসভা করে এবং তারা বারবার উল্লেখ করছে খুব দ্রুত নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেওয়া হোক তাই সব কিছু মিলে তাদের সকল কার্যক্রমের জন্য তারা দেশ তথা সারা বিশ্বের কাছে সমালোচিত।
অথচ দেশপ্রেমী ছাত্ররা ১৭ বছরের স্বৈরাশাসনের নির্যাতন থেকে দেশ তথা জাতিকে মুক্ত করে ক্লান্ত না হয়ে বিজয় বীরের ভূমিকায় নিজেদের সঁপে দিয়েছে রাষ্ট্রের গুরু দায়িত্ব পালনে। অবিচলিতভাবে তারা দেশের জানমাল রক্ষায় সংখ্যালঘুসহ সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং রাজপথে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন সহ বঙ্গভবন সংসদ ভবন এবং রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো এমনকি বিভিন্ন সড়ক পরিচ্ছন্ন কাজে রাত দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে যা নজর কেড়েছে দেশ তথা সারা বিশ্বের। পাশাপাশি স্বাধীনতা পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যেন কোন অপশক্তির বজ্র থাবায় স্বাধীনতার বিজয় উল্লাস মলিন হয়ে না যায় সেদিকে কঠোর নজরদারি রেখে সুন্দর একটি পরিকল্পনা মাফিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে জাতিকে উপহার দিবে। যেখানে থাকবে না কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ক্ষমতার অপব্যবহার তাই ছাত্রদের যুদ্ধ ক্ষত বিধ্বস্ত দেশের সর্বাধিক বিবেচনা করে গুণী এবং সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে দেশের সর্বজনীন উন্নয়ন এবং দেশের নির্যাতিত নিপীড়িত অসহায় মানুষদের সুখ দুঃখে তাদের পাশে থেকে ভাগ্য পরিবর্তন সহ সকল ধরনের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেশ প্রেমে নিবেদিত হয়ে সর্বদা নিয়োজিত থাকবেন। তাছাড়া আশা করি এদেশে কোন অপশক্তি আর মাথা চড়া দিতে পারবেনা কোন স্বৈরাচারের উৎপত্তি হবে না। তবে দেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা অংশের একজন সমন্বয়ক বিএনপি সহ সকল রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ্য করে কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন আমরা নৌকা ডুবিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি ধান চাষ করার জন্য না। আমরা যখন সারাদেশ জুড়ে ছাত্র আন্দোলনে রাজপথ উত্তপ্ত করে তুলেছি স্বৈরাচার সরকারকে দিশেহারা করে তুলেছিলাম তখন বিএনপি তথা অন্যান্য রাজনৈতিক দল আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি এক বোতল পানি দিয়ে সাহায্য করেনি। আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে রিক্সাওয়ালা দৈনন্দিন খেটে খাওয়া শ্রমিক সাধারণ জনতা তাদের হাড় ভাঙ্গা ক্লান্ত পরিশ্রমে উপার্জনের পয়সা দিয়ে বাড়িতে বাজার না করে আমাদের জন্য পানি বিস্কুট বিতরণ করেছে। মুক্তির সংগ্রামে আমাদের সাথে সমস্বরে স্লোগান করেছে। স্বৈরাচার উৎখাতের একেবারে ক্রান্তিকাল পর্যন্ত তারা আমাদের পাশে থেকেছে। সে ক্ষেত্রে আমি মনে করছি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের থেকে এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য তাদের অবদান উল্লেখযোগ্য। এদিকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশা মানুষের অভিযোগ
বাংলাদেশ স্বাধীনের ৫৩ বছরের পরবর্তী সময়ের নতুন প্রজন্মের কাছে ঐতিহাসিক ২০২৪ এর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অসংখ্য ছাত্র জনতাসহ পুলিশের নির্মম মৃত্যুর রক্ত স্রোতের বিনিময়ে ১৭ বছরের বাংলাদেশের জুলুম রাজনৈতিক একনায়কতন্ত্র নায়িকা স্বৈরাঘাতককে উৎখাত করে গণঅভ্যুত্থানে বিপ্লব ঘটিয়ে ৫ আগস্ট সমগ্র বিশ্ববাসীকে হতভম্ব করে দিয়ে এক নতুন ইতিহাসের অধ্যায় উন্মোচন করেছে।
জন্ম দিয়েছে একটি নতুন বাংলাদেশ আর এসব কিছুর সকল অবদান একমাত্র ছাত্র সমাজের।
ছাত্ররা মারখেয়ে রক্ত দিয়ে রাজপথ দখল করে রেখে জুলুম নির্যাতন একনায়কতন্ত্র ফ্যাসিস্ট সরকারকে উৎখাত করেছে নতুন একটি স্বাধীনতার বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। সেহেতু এ বিজয় ছাত্র জনতার বিজয় এ বিজয় কোন রাজনৈতিক দলের কুক্ষিগত বিজয় না। তাই আমরা সাবেক প্রজন্ম আজকের দিনের ছাত্রদের কাছে চিরঋণী চির কৃতজ্ঞ পাশাপাশি যে সকল ছাত্র-জনতা যুদ্ধে সামিল হয়ে জীবন বিসর্জন দিয়েছে তাদের প্রতি দেশের ১৮ কোটি মানুষের বিনম্র শ্রদ্ধা।
