মুন্না ইসলাম আগুন স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী:
রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলার ০২নং কিসমতগকৈড় ইউনিয়নের উজালখলসী গ্রামে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গত ০৬ ই এপ্রিল ২০২৫ ইং রাত ৯:৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার উজালখলসী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিকের একটি টিম দুই দিন সরেজমিনে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জানতে পারে
উজালখলসী গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে আব্দুর রহমানের কাছ থেকে ৫৫০০০/- টাকা পান একই গ্রামের আব্দুল আজিতের ছেলে মোঃ আজাহার আলী ও তার ভাই আরিফ।
আব্দুর রহমানের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা চেয়ে আসছিলেন কিন্তু সে টাকা দিতে চেয়ে বিভিন্ন সময় সময় নেই কিন্তু সময় নিয়ে পরে আর সময় মতো টাকা দেয় না।
গত ০৬ এপ্রিল রাত নয়টার দিকে আজাহার আলী ও তার ভাই আরিফ টাকা চাইতে যায় একপর্যায়ে তারা টাকা দিতে অস্বীকার করে। টাকা দিতে অস্বীকার করাই এক পর্যায়ে তর্কে জড়িয়ে আব্দুর রহমান আজহার আলীকে ধাক্কা দেয় সেখানে উপস্থিত আজহার আলীর ছোট ছেলে রুবায়েদ হোসেন উপস্থিত থাকে। বাবাকে ধাক্কা দেওয়া দেখে সে এগিয়ে আসে এবং তাদের আক্রমণ প্রতিহত করে এক পর্যায়ে আব্দুর রহমানকে রুবায়েদ হোসেন ধাক্কা দিলে তিনি মাটিতে পড়ে যান।
স্থানীয় উপস্থিত লোকজন তাদের ধরে আটকে দেয় উভয়পক্ষকে পরবর্তীতে আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনী ।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় সেখানে হামলার শিকার হলেও কোন দেশীয় অস্ত্র বা পিস্তল ব্যবহার হয়নি। লাল
খোঁজ নিয়ে জানা যায় আব্দুর রহমান স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে চলত। গত ৫ই আগস্ট ২০২৪ইং আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে তারা স্থানীয়ভাবে ক্ষোভের মুখে পড়ে। বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত না দেওয়ার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে।
বিভিন্ন পত্রিকায় উক্ত হামলা কে সন্ত্রাসী হামলা বলে নিউজ প্রকাশ করা হয় এবং নিউজে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার চেষ্টা কথা উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে নিয়ে জানা যায় সেখানে এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি এবং উপস্থিত লোকজন পিস্তল কেউ দেখেনি।
নিউজ প্রকাশ করা একাধিক সাংবাদিকের সঙ্গে ফোনে কথা বললে আমরা জানতে পারি সেখানে তাদেরকে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে এবং সেই সকল সাংবাদিক তাদের নিউজের জন্য ক্ষমা চান এবং সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে নিউজ প্রকাশ করার কথা বলেন।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত আজাহারের ছেলে মো: রুবায়েত হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান “গত ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ইং সন্ধ্যায় যে ঘটনা ঘটে এটি মূলত একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমার বাবা পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা আমার বাবার উপরে আক্রমণ করে আমি সেখানে গিয়ে তাদের প্রতিহত করি। হামলাকারী আব্দুর রহমান টাকা দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে নিউজ করিয়েছেন যে আমি নাকি পিস্তল ঠেকিয়ে তাদেরকে মেরে ফেলতে চেয়েছি। এটা পুরোটাই মিথ্যা ও বানোয়াট ভিত্তিহীন এর কোন সত্যতা নেই।
তিনি আরো বলেন “আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ায় আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি একজন স্টুডেন্ট আমি এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার দেশীয় অস্ত্র বা আগ্নেয় অস্ত্র ব্যবহার করিনী কিন্তু আমাকে তারা সন্ত্রাসী ক্যাডার বলে উল্লেখ করেছে আমি এটার বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেব। আমি খুব দ্রুত আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে একটি সংবাদ সম্মেলন করব এবং সেখানে ঘটে যাওয়া সকল প্রকার ঘটনা খুলে বলবো।
রুবায়েতের বাবা আজাহার আলীর সঙ্গে কথা বললে “তিনি জানান আমার ছেলে লেখাপড়া করে সে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার ছেলে কোন প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনী। কিন্তু এই সমস্ত মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদের আমি প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
এলাকাবাসীর একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বললে নাম না প্রকাশ করার শর্তে অনেকেই জানান আব্দুর রহমান দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তার মূল পেশাই ছিল মানুষের নামে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
আজাহার ও তার ভাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তাদেরকে বিতর্কিত করতে এই ধরনের মিথ্যা সংবাদ তারা প্রকাশ করাচ্ছে। আব্দুর রহমানের ভাই জনাব মাহবুবুর রহমান তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করতেন এবং তিনি এলাকায় একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন আমরা এটাও জানতে পারি যে কোচিং সেন্টারে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর শীলতা হানি সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে ।
সাংবাদিকতা বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকার কারণে এবং স্থানীয় জেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ওঠাবসার কারণে তাদের সঙ্গে তার একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। আর এই সুসম্পর্ককে পুঁজি করে সে মিথ্যা নিউজ টাকার বিনিময়ে প্রকাশ করাচ্ছে।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুরুল হুদা কে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন “আমি ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত আছি থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। আমাদের একজন অফিসার কে তদন্তে পাঠিয়েছি তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সে যে দলেরই হোক কোন ছাড় হবে না আইন সকলের জন্য সমান”।
