পুঠিয়া উপজেলার প্রতিনিধি (রাজশাহী)
রাজশাহীর পুটিয়া জমিজমাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। ওই ঘটনায় উভয় পক্ষের আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ জন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার ভাল্লুকগাছি ইউনিয়নের হোজারপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জানা যায় যে, ভালুকগাছি ইউনিয়নের হোজার পাড়া গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে ইব্রাহিম এবং একই গ্রামের মৃত, ফয়েজ মন্ডলের ছেলে সোহরাব হোসেনের সাথে জমিজ জমা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাঁধে সংঘর্ষ। উপজেলার ভালুকগাছি মৌজার ৬৩ শতাংশ জমির দখলকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দ্বারা উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি সংঘটিত হয়। ওই সংঘর্ষের ঘটনা আহত হয়েছেন, ১। মোঃ হৃদয় (২২), পিতা- মোঃ জীবন, ২। মোঃ ওবাইদুল হক (৪০), পিতা মোঃ ইব্রাহিম,৩। মোঃ ইব্রাহিম(৬০), পিতা-মৃত ইউসুফ, ৪। মোঃ সুজন (১৮), পিতা মোঃ জীবন,৫। মোঃ রাসেল (২৪), উভয় পিতা- মোঃ জীবন, তাদের সকলের বাড়ি উপজেলার ভালুকগাছি হোজারপাড়া গ্রামে। এছাড়াও অপরপক্ষের আহতরা হলেন, ১। মোঃ সোহরাব হোসেন (৬০), পিতা, মৃত ফরেজ মন্ডল, ২। মোস্তফা (৩০), পিতা- ফরেজ মন্ডল, ৩। আজিম (২০), ৪। মোঃ পিন্টু (২৫), উভয়ের পিতা- আফতাব উদ্দিন, ৫। জোহরা বেগম (৫০), স্বামী মোঃ জিয়ামত আলী তাদের সকলের বাড়ি ভালুকগাছি একই এলাকায়। আহতরা সম্পর্কে পরস্পরের আত্মীয়। কেউ চাচাতো ভাই, কেউ ভাতিজা। এছাড়াও মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে সোহরাব হোসেন দাবি করেন উল্লেখিত ৬৩ শতাংশ জমি তাদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া। অন্যদিকে ফয়েজ মণ্ডলের ছেলে সোহরাব হোসেন তিনি দাবি করেন ক্রয় সূত্রে তারা জমির মালিক।
সংঘর্ষের ঘটনা আহত হলে তাদের পরিবারের লোকজনের সহায়তা পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হৃদয়, ওবায়দুল, ইব্রাহিম এবং অপর পক্ষের মো: সোহরাব হোসেনদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাহাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মুঠোফোনে ওই ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত কেউই অভিযোগ বা মামলা করেনি। তবে একপক্ষ থানায় এসেছেন। সংঘর্ষের বিষয়ে অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।