যোগেশ ত্রিপুরা (রামগড় প্রতিনিধি)
অপেক্ষার পর উদ্বোধন হলো খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা রামগড় উপজেলার আন্তর্জাতিক ইন্টারন্যাশনাল পাসেঞ্জার টার্মিনাল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আবাসন প্রকল্প।
১৪নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০:০০টায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা রামগড় উপজেলার মহামুনি বৌদ্ধ বিহারের
সংলগ্ন বিপরীতে হাওয়া বাংলাদেশ – ভারত মৈত্রী সেতু বা আন্তর্জাতিক ইন্টারন্যাশনাল পাসেঞ্জার টার্মিনাল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আবাসন প্রকল্প কনফারেন্সিং মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশনেত্রী ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা গন ভবন থেকে শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনে পুরো দেশের অর্থনীতি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। দুই দেশের ব্যবসা -বানিজ্য ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও প্রানসঞ্চারীতে দেশ বানিজ্যক রাজধানী চট্টগ্রাম ও পর্যটন নগরী কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ি,
রাঙ্গামাটির,বান্দরবান কক্সবাজার, টেকনাফ সহ জেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুয়িত পার্বত্য চট্টগ্রাম- ভারতে উওর -পূর্বাঞ্চলে সাত রাজ্যে কয়েক কোটি মানুষ ওই বন্দর ব্যবহারে উপকৃত হবে। ব্যবসা -বানিজ্য ও পারস্পরিক সম্পর্কে উন্নয়ন সুদৃঢ় হবে। বাংলাদেশ -ভারত সেতু বন্ধনে পুরোদমে রামগড়, হেয়াঁকো, বারৈয়ার হাট প্রায় ৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সড়ক প্রশস্ত ও আধুনিক করণ সহ উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট উন্নয়নে আরোও একধাপ এগিয়ে গেছে।
দক্ষিণ-পূর্ব জনপদ পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় গড়ে উঠে রামগড় স্থলবন্দর। ০৭ নভেম্বর ২০১০ ইং রামগড় আন্তর্জাতিক ইন্টারন্যাশনাল টার্মিনাল
ঘোষণা করা হয় । তার প্রেক্ষিতে ভার্চুয়াল ভাবে অনুষ্টানিকের মাধ্যমেই বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এই আন্তর্জাতিক ইন্টারন্যাশনাল পাসেঞ্জার স্থাপনে প্রায় একশ পঁচিশ কোটি টাকা অর্থায়ন করেছে বিশ্বব্যাংক। এক দশমিক নয় কিলোমিটার দৈর্ঘের সেতু রামগড়ের সাথে যুক্ত হয়েছে ভারত ত্রিপুরা রাজ্যের সাব্রুম। মৈত্রী সেতুর মাধ্যমে দুইটি দেশের সীমান্তের বন্ধন জটিলতা নিরসনে স্থল বন্দরটি চালু হয়ে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যর পাশাপাশি সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের। উন্নয়ন হবে দুই দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে দেশ।
বন্দরটি চালু হয়ে ভারত থেকে ফল, পেঁয়াজ, আলু বীজ, গম, সারসহ অন্যান্য পণ্য সামগ্রিক আমদানি ও রপ্তানি করবে বাংলাদেশ।তার পাশাপাশি বাড়বে উন্নত মানের শিক্ষা চিকিৎসা,কর্মজীবন সহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের জন্য সহজ ও কম খরচে হবে। উত্তর-পূর্ববাঞ্চল স্থান গুলো থেকে পণ্য পরিবহন সুবিধা পাবে ভারত। কর্মজীবী মানুষদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বানিজ্য সম্প্রসারিত হবে। রামগড় থেকে চট্টগ্রাম স্থল বন্দরের দুরত্ব প্রায় ১১২ কিলোমিটার। ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চরের ভারত রাজের মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজুরাম এবং অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হবে এই আন্তর্জাতিক ইন্টারন্যাশনাল পাসেঞ্জার মাধ্যমে।মৈত্রী সেতুটি ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্যগুলো দ্রুত পৌঁছবে বাংলাদেশ-ভারতে।বাংলাদেশ – ভারত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার ঘটবে, বিকশিত হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে এবং পর্যটন খাতে ব্যাপক প্রসারিত হবে। আন্তর্জাতিক ইন্টারন্যাশনাল পাসেঞ্জার টার্মিনাল আনুষ্টানিক শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ – ভারত চাহিদাগুলো পুরণ হবে। খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও বন্দর নগরী সহ অন্যান জেলার আমদানি-রপ্তানী মাধ্যমে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ব্যবসা -বানিজ্যের অর্থনীতিক তাৎপর্যপূর্ন হয়ে উঠবে।
রামগড় স্থলবন্দরের ইনচার্জ আফতাব উদ্দিন বলেন, “যাত্রী পারাপার করার জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ইমিগ্রেশন ভবনের ভেতরে কাফেটেরিয়া, ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিজিবি, ব্যাংক এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুই দেশের সম্মতিতে যাত্রী পারাপার শুরু হবে। প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা।” চালু হয়ে পুরোদমে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম করা যাবে। আন্তর্জাতিক ইন্টারন্যাশনাল পাসেঞ্জার চালুতে মানুষের দুর্ভোগ কমবে। আর্থিক ভাবে লাভবান হবে। বন্ধুত সম্পর্ক সহ বিভিন্ন কার্যকর সহজতর হবে। তাই এই উদ্বোধনে বাংলাদেশর মানুষ সহ রামগড় বাসী সকলেই খুশি।