বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
খুনি হাসিনার মৃত্যুদণ্ড রায়ের আদেশের একদিন পরেও খুলনায় ভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জনগণ নগরীর শিববাড়ি চত্বরে শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি স্থাপন করে তার বীভৎস মুখের ওপরের সারিবদ্ধভাবে জুতো নিক্ষেপ ও থুতু দিয়ে হাসিনার ফাঁসির আদেশের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ করেছেন সর্বমহলের জনগণ। এর আগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল -১ রায়ের আদেশ দেওয়ার দিন ধার্য থাকায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থী সাথে ইচ্ছুক জনতা গত সকাল থেকেই শিববাড়ি চত্বরে জমায়েত হয়ে অপেক্ষা করছিল এবং বিভিন্ন সংগীত ও ব্যঙ্গতার মাধ্যমে শেখ হাসিনার প্রতি ধিক্কার স্বরূপ বিভিন্ন আঙ্গিকে পথনাটক করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা আনন্দ ও উৎসাহ যুগিয়েছে দর্শনার্থীরা। ১৭ তারিখ সকাল ১১ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষার পর যখন শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ের আদেশ আসে তখন অপেক্ষিত জনগণ ও ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী যোদ্ধারা সহ সারিবদ্ধ ভাবে লাইন দিয়ে একে একে শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে জুতো নিক্ষেপ এর কর্মসূচি অব্যহত রেখেছে । পাশাপাশি মিষ্টি বিতরণে আরও একটি নতুন বিজয়ের উচ্ছাসও মিছিল করেছে এলাকা জুড়ে।
ছাত্র-জনতা জড়ো হয়ে অপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে যত দ্রুত সম্ভব মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ইতিহাসের দৃষ্টান্ত স্থাপন করার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে রায়কে কেন্দ্র করে খুলনা মহানগরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল দল বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালিয়েছে।
অপরদিকে কার্য নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সংগঠন মৃত্যুদণ্ড রায় প্রত্যাখ্যান করে দেশ জুড়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দিলেও কোথাও তার প্রভাব নাই।
এদিকে আবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা জেলা শাখার সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, খুনি হাসিনা ও তার সহযোগীদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করে বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে। আর কেউ যেন হাসিনার মতো রক্ত চোষা স্বৈরাচার হয়ে উঠতে না পারে তার জন্য হাসিনার সর্বোচ্চ সাজা কার্যকর করতে হবে। হাসিনা ও তার সহযোগীদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো। সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, শিববাড়ি মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ, র্যাব এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে টহল জোরদার করেছেন। নিরাপত্তায় সকলে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

