ঢাকাMonday , 3 March 2025
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. চাকুরী

রাসূল (ﷺ) এর বংশ পরিচিতি ও জন্ম।

দেশ চ্যানেল
March 3, 2025 1:25 pm
Link Copied!

মুফতি খোন্দকার আমিনুল ইসলাম আবদুল্লাহ ।

◼️ রাসূল (ﷺ) এর বংশ পরিচিতি

রাসূল (ﷺ) এর পবিত্র বংশধারা পৃথিবীর সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত ও মর্যাদাশীল।(৩) এটি এমন এক বাস্তব সত্য যে, মক্কার সকল কাফির এমনকি তাঁর চরম শত্রুও তা অস্বীকার করতে পারেনি। আবু সুফিয়ান রা. ইসলামগ্রহণের আগে রোম সম্রাটের সামনে এ সত্য গোপন করতে পারেননি; বরং সত্যটাই স্বীকার করতে হয়েছিল তাঁকে। অথচ তখন তিনি মনে মনে চাচ্ছিলেন, যদি কোনো সুযোগ পাওয়া যায়, তাহলে রাসূল (ﷺ) এর ওপর কোনো না কোনো দোষ চাপাবেন।

◼️ রাসূল (ﷺ) এর বংশধারা

পিতার দিক থেকে রাসূল (ﷺ) এর বংশপরিক্রমা

মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল মুত্তালিব ইবনু হাশিম ইবনু আবদি মানাফ ইবনু কুসাই ইবনু কিলাব ইবনু মুররা ইবনু কাআব ইবনু লুওয়াই ইবনু গালিব ইবনু ফিহর ইবনু মালিক ইবনু নাজার(৪) ইবনু কিনানা ইবনু খুজায়মা ইবনু মুদরিকা ইবনু ইলয়াস ইবনু নিজার ইবনু মাআদ ইবনু আদনান।

এ পর্যন্ত রাসূল (ﷺ) এর বংশধারা সর্বসম্মতভাবে স্বীকৃত ও প্রমাণিত। এর পর থেকে আদম আ. পর্যন্ত তাঁর বংশধারা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে, তাই সেটুকু আর উল্লেখ করা হলো না।

মায়ের দিক থেকে রাসূল (ﷺ) এর বংশপরিক্রমা

মুহাম্মাদ ইবনু আমিনা বিনতু ওয়াহাব ইবনু আবদি মানাফ ইবনু জুহরা ইবনু কিলাব।

উপরিউক্ত আলোচনার পর জানা গেল যে, কিলাব ইবনু মুররা পর্যন্ত পিতা-মাতার দিক থেকে বংশপরিক্রমা ভিন্ন হলেও এর পর থেকে একসঙ্গে মিলে গেছে।

রাসূল (ﷺ) এর জন্মপূর্ব বরকতের সুবাস

প্রভাত হওয়ার আগে সুবহে সাদিকের আলো এবং রক্তিম পুবাকাশ যেমন পৃথিবীকে আলোকোজ্জ্বল সূর্যোদয়ের জানান দেয়, তেমনি নবুওয়াতি সূর্যের উদয়-মুহূর্ত যখন একেবারে নিকটে, তখন পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় এমন সব ঘটনা ঘটতে লাগল, যা রাসূল (ﷺ) এর শুভ জন্মের আগমনী-সংবাদ দিচ্ছিল। মুহাদ্দিস ও ইতিহাসবিদদের পরিভাষায় সেগুলোকে ‘ইরহাসাত’ বা অপেক্ষমাণ নিদর্শন বলা হয়।

রাসূল (ﷺ) এর সম্মানিত মা আমিনা থেকে বর্ণিত; রাসূল (ﷺ) এর যখন তাঁর মাতৃগর্ভে, তখন আমিনাকে স্বপ্নে সুসংবাদ দেওয়া হয়- ‘তোমার গর্ভে যে শিশু রয়েছে, সে এ উম্মাহর নেতা হবে। শিশুটি যখন ভূমিষ্ঠ হবে, তখন তুমি এ দুআ করবে-“আমি তাঁকে এক আল্লাহর আশ্রয়ে সমর্পণ করছি” এবং তাঁর নাম রাখবে মুহাম্মাদ।’

আমিনা আরও বলেন, মুহাম্মাদ যখন আমার গর্ভে আসেন, তখন আমি একবার এমন একটি আলো দেখতে পাই, যে আলোতে শামের বসরা শহরের বড় বড় প্রাসাদ আমার দৃষ্টিগোচর হচ্ছিল!(৫)

তিনি আরও বলেন, আমি এমন কোনো মহিলাকে দেখিনি, যারা গর্ভবতী হয়ে আমার মতো এত হালকা ও সহজবোধ করেছেন। কেননা, গর্ভে সন্তান থাকলে মহিলাদের যে বমি বমি ভাব, অসুস্থতা-অলসতা ইত্যাদি বিষয় পরিলক্ষিত হয়, আমার ক্ষেত্রে সে রকম কিছুই হয়নি। এ ছাড়া এমন আরও অসংখ্য ঘটনা নবিজির জন্মের আগে প্রকাশ পেয়েছে, যেগুলো এই ছোট গ্রন্থে উল্লেখের সুযোগ নেই।

◼️ রাসূল (ﷺ) এর জন্ম

এ বিষয়ে সবাই একমত যে, রাসূল (ﷺ) সে বছরের রবিউল আউয়ালে জন্মান, যে বছর ‘আসহাবে ফিল’ বা আবরাহার হস্তিবাহিনী পবিত্র কাবায় হামলা করতে এসেছিল।(৬) তবে আল্লাহ তাআলা কতিপয় ক্ষুদ্র আবাবিলের মাধ্যমে পাথরকণা নিক্ষেপ করে তাদের পরাস্ত করেছিলেন। কুরআনেও এ ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ রয়েছে। মূলত এ ঘটনা রাসূল (ﷺ) এর জন্মপূর্ব বরকতের সূচনা হিসেবে প্রকাশ পেয়েছিল। রাসূল (ﷺ) যে ঘরে জন্মান, পরবর্তী সময়ে সে ঘর হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফের ভাই মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফের অধিকারে এসেছিল।(৭)

কোনো কোনো ইতিহাসবিদ লিখেছেন, হস্তিবাহিনীর ঘটনা ৫৭১ খ্রিস্টাব্দের ২০ এপ্রিল ঘটেছিল।(৮) এর মাধ্যমে জানা গেল যে, ইসা আ.-এর জন্মের ৫৭১ বছর পর রাসূল (ﷺ) এর জন্ম হয়।

ইবনু আসাকির(৯) রাহ, পৃথিবীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে লেখেন, আদম ও নূহ আ.-এর মধ্যখানে ১ হাজার ২০০ বছরের ব্যবধান ছিল। নুহ আ. ও ইবরাহিম আ.-এর মধ্যখানে ছিল ১ হাজার ১৪২ বছরের ব্যবধান। ইবরাহিম থেকে মুসা আ. পর্যন্ত ৫৬৫ বছরের। মুসা থেকে দাউদ আ. পর্যন্ত ৫৬৯ বছরের। দাউদ থেকে ইসা আ. পর্যন্ত ১ হাজার ৩৫৬ বছর এবং ইসা আ. থেকে শেষ নবি মুহাম্মাদ (ﷺ) পর্যন্ত ৬০০ বছরের ব্যবধান ছিল।

এ হিসাবে আদম থেকে আমাদের নবি মুহাম্মাদ (ﷺ) পর্যন্ত ৫ হাজার ৩২ বছরের ব্যবধান ছিল। তা ছাড়া প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী আদম আ.-এর বয়স হয়েছিল ৯৬০ বছর। তাই আদম আ.-এর পৃথিবীতে আগমনের প্রায় ৬ হাজার বছর পর অর্থাৎ, সপ্তম সহস্রাব্দে নবিজির জন্ম হয়।(১০)

মোটকথা, আসহাবে ফিল কাবায় আক্রমণের বছরের ১২ রবিউল আউয়াল(১১) সোমবার পৃথিবীর ইতিহাসে অনন্য এক দিন ছিল; যে দিন পৃথিবী সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য, দিন ও রাতের পরিবর্তনের মূল লক্ষ্য, আদম আ. ও তাঁর সন্তানদের গৌরব, নুহ আ.-এর কিশতি রক্ষার মূল রহস্য, ইবরাহিম খলিলুল্লাহর দুআ, মুসা ও ইসা আ.-এর ভবিষ্যদ্বাণীর উদ্দিষ্ট ব্যক্তি অর্থাৎ, আমাদের রাসূল (ﷺ) এ ধরায় শুভাগমন করেন।

সীরাত সিরিজ (পর্ব – ১ : ) চলবে ইং শা আল্লাহ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST