বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
রেল কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার ভোর রাত থেকে সিডিউল অনুযায়ী গন্তব্যের উদ্দেশ্যে খুলনা স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে সকল ট্রেন স্বস্তি ফিরে এসেছে যাত্রীদের মাঝে। দীর্ঘ ২৭ ঘণ্টা কর্মবিরতির মধ্যে প্রথম ধাপে কমলাপুর রেলস্টেশনের ভিআইপি কক্ষে রেল শ্রমিক নেতাদের সাথে উপদেষ্টা পরিষদ মন্ডলের দফায় দফায় বৈঠক করলেও শ্রমিকদের চাওয়া পাওয়ার প্রতিফলন না ঘটার কারণে অব্যাহত ছিল কর্মবিরতি। অবশেষে রেল উপদেষ্টা মোঃ ফাইজুল কোবির খানের বেইলী রোডের বাসায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি শিমুল বিশ্বাস সহ বেশ কয়েকজনের প্রতিনিধিদল গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা করে শ্রমিকদের চাওয়া পাওয়া সনাতনী পদ্ধতিতে সকল সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিলে অবশেষে বুধবার রাত ২:৫০ মিনিটে শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান কর্মবিরতি স্থগিতাদেশ দেন ফলে ভোররাত থেকে দেশের সকল স্টেশন থেকে যথারীতি যাত্রী নিয়ে হুইসেল বাজিয়ে রেল চলাচল শুরু করেছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে খুলনা জনের রেল শ্রমিক নেতা।
ফলে দেশব্যাপী রেলের রানিং স্টাফরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিজ নিজ কর্মে ফিরেছেন। এসময় কেন্দ্রীয় নেতা রানিং স্টাফদের বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়ে বলেছেন উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেছেন বুধবার মধ্যে দাবি পূরণ করে রানিং স্টাফদের ভাতা ও পেনশন সুবিধা সনাতনী নিয়ম অনুযায়ী পুনর্বহালে সরকারি আদেশ জারি হবে। এর আগে রাত সোয়া ২টার দিকে ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার। শ্রমিক নেতাদের সাথে নিয়ে আমরা রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমস্যার সমাধান করতে রেল উপদেষ্টার সাথে দেখা করেছি। এ বিষয়ে প্রেস কনফারেন্স রাত ২টা ৩০ মিনিটে।’ পুরোনো নিয়মে ভাতা ও পেনশন সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে সোমবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন রানিং স্টাফরা। সারাদেশে প্রায় ২৭ ঘণ্টা সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তিন শতাধিক যাত্রীবাহী ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়। দুর্ভোগে পড়েন লাখো মানুষ।একটা সময় বিভিন্ন রেল কর্মকর্তারা বলেছেন সাধারণ মানুষদের ভোগান্তিতে ফেলে আমরা কোন কর্মসূচিতে যেতে চেয়েছিলাম না কিন্তু বিগত সরকারের কিছু বৈষম্য নীতিতে আমরা আমাদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার উপক্রম হয়েছিল।